৮ম কমিউনিকেশন সামিট এবং কমওয়ার্ড অনুষ্ঠিত

অনলাইন রিপোর্টঃ

“সৃজনশীলতা অপরিহার্য”এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে অনুষ্ঠিত হলো অষ্টম কমিউনিকেশন সামিট। রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপি এই সামিটে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, বিপণন ও বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকে আগত প্রায় ৩৫০ জন অতিথি অংশগ্রহন করেন।

কমিউনিকেশন সামিট বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ যা ২০০৯ সাল থেকে এদেশীয় সৃজনশীল যোগাযোগ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এবছর এ আয়োজনের পরিবেশনায় ছিলো মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। এতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে দ্য ডেইলি স্টার।

সামিটের উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে বিজ্ঞাপন শিল্প ও ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠায় সৃজনশীলতাই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।”

বাংলাদেশে ব্যাবসা ও মার্কেটিং এ সৃজনশীলতা প্রসারে কমিউনিকেশন সামিট হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম যেখানে দেশি বিদেশি নামকরা সব বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিং বিশেষজ্ঞগণ সম্মিলিত হন। এ বছর সামিটে মূল বক্তব্য রেখেছেন বিশ্বখ্যাত চার জন সৃজনশীল যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ।

এছাড়াও ছিলো দুইটি প্যানেল আলোচনা, তিনটি ব্রেকআউট সেশন, এবং তিনটি কেইস স্টাডি উপস্থাপন। এর পাশাপাশি উপস্থিত অতিথিদের জন্য ছিলো বিশেষ কান লায়ন্স এর বিজয়ী ক্যা¤েপইন এবং বিগত বছরের উল্লেখযোগ্য ক্যা¤েপইনের প্রদর্শনী।

সামিটে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এবং বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের আইসিটি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত এটুআই এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। স্মারকের অংশগ্রহণকারী দুই পক্ষ যৌথভাবে চেষ্টা করবে দেশের আট বিভাগে তরুণদের মধ্যে কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, উদ্ভাবনী চেতনা পৌছে দেয়ার। দুই পক্ষ আরো কাজ করবে ডিস্ট্রিক্ট ব্র্যান্ডিং এবং হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া নিয়ে। এছাড়াও এনআরবি কনক্লেভ এর বিভিন্ন কার্যক্রম এর মাধ্যমে প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংযুক্ত করার জন্য চেষ্টা করবে দুই পক্ষ।

এ বছরের সামিটের মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন টিজিএইচ কালেক্টিভ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার, সাউথ ইস্ট এশিয়া জেডাব্লিঊটি এর সাবেক ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ও গ্লোবাল এক্সেকিউটিভ তে গুয়ান হিন; মধ্যপ্রাচ্য ও নর্থ আফ্রিকা গ্রে এডভার্টাইজিং এর চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার আলি শাবাজ; আমুল ডেইরি আনান্দ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর জায়েন মেহতা; এবং স্কুল অব স্লো মিডিয়া এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্যামুয়েল ডিয়াজ ফার্নান্দেজ।

এছাড়া প্যানেল আলোচনাগুলোতে অংশগ্রহন করেন দেশের নামকরা বিজ্ঞাপন ও বিপণন বিশেষজ্ঞরা, যাদের মধ্যে ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর মার্কেটিং বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আসিফ ইকবাল; গ্রে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কান্ট্রি হেড গাউসুল আলম শাওন; এশিয়াটিক জেডাব্লিঊটি/এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেভিল হাসান ফেরদৌস; এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের পারসোনাল কেয়ার বিভাগের মার্কেটিং ডিরেক্টর নাফিস আনোয়ার সহ আরো অনেকে।

এছাড়াও সামিটে ছিলো বাংলাদেশ মিডিয়া ফোরাম, স্কূল অব স্লো মিডিয়া এবং অন্যান্য সংস্থার মোট চারটি ব্রেক আউট সেশন।

দিনব্যাপি কমিউনিকেশন সামিট শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় কমওয়ার্ড এর অষ্টম আসর যা দেশের বিজ্ঞাপন শিল্পের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি। এবছর ২৩ টি ক্যাটাগরী তে কমওয়ার্ড এর জন্য আবেদন জমা পড়েছিলো ৪৮৭ টি। সর্বমোট ৮৫ টি ক্যাম্পেইন কে পুরষ্কৃত করা হয়।

গ্র্যান্ড প্রি, গোল্ড এবং সিলভার এই তিনটি র‌্যাংকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। কমওয়ার্ডে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয় সদ্য ৫০ বছর পূর্ণ করা বিটপি এডভার্টাইজিং কে।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে, কান লায়ন্স এর সাথে অংশিদারিত্বে এবছর কমিউনিকেশন সামিট এবং কমওয়ার্ড আয়োজিত হয় মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর সৌজন্যে। এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো দ্য ডেইলি স্টার।

এ আয়োজনে আরো ছিলো ইভেন্ট পার্টনার লা মেরিডিয়েন, স্ট্রাটেজিক পার্টনার বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম এবং রোয়ারিং লায়ন্স, নলেজ পার্টনার মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ, লাইফস্টাইল পার্টনার এডভান্স ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস, টেকনোলজি পার্টনার সিম্বল, পি আর পার্টনার মাস্টহেড পি আর, রেডিও পার্টনার রেডিও টুডে, ডিজিটাল পার্টনার মেলোনেডস, এবং ভিজুয়াল পার্টনার আতশ।

এসএম

FacebookTwitter