তথ্য ও যোগাযোগঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং এ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর চতুর্থ সংস্করণ গত শনিবার (১২.১২.২০২০) ৭৮ টি ডিজিটাল ক্যাম্পেইনকে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সম্মানিত করেছে।
এইচটিটিপুলের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইভালি ও দি ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই এ্যাওয়ার্ডে ১০০০ এর বেশি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রফেশনাল উপস্থিত ছিলেন।
মোট ১৬টি ক্যাটাগরির অধীনে গোল্ড, সিল্ভার এবং ব্রোঞ্জ এই ৩টি ক্রমে এ বছরের শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল ক্যাম্পেইনগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়।
এ বছর ডিজিটাল মার্কেটিং এ্যাওয়ার্ডে কোন ক্যাম্পেইনই গ্রেনপ্রিকস পায়নি। ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড দেশের ডিজিটাল উদ্যোগগুলোকে সম্মাননা প্রদানের জন্য একমাত্র প্ল্যাটফর্ম।
অ্যাওয়ার্ডের জন্য মোট ৬৫০ টিরও বেশি মনোনয়ন জমা পড়ে। এর মধ্যে পাঁচটি জুরি প্যানেল দ্বারা ২৮৫ টি ক্যাম্পেইনকে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত হয়। ছয়টি গ্র্যান্ড জুরি এদের মধ্য থেকে ৭৮ ক্যাম্পেইনকে চুড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করে।
মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এফএমসিজি) জনাব আসিফ ইকবাল সকল সৃজনশীল প্রতিষ্ঠানকে তাদের ক্রমাগত প্রয়াসের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “আমরা জানি ডিজিটালাইজেশন এবং নতুনত্বের মাধ্যমে অনেক উন্নয়ন হবে। দেশীয় এবং অভিযোজিত উদ্ভাবন ভবিষ্যতে এই ব্যবসা চালিয়ে যাবে”।
ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর জুরি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “মিলেনিয়াম এবং ডিজিটাল নেটিভদের জীবনের একটি অংশ হচ্ছে ডিজিটাল। যখন মার্কেটাররা তাদের ব্র্যান্ড-বিল্ডিং ক্রিয়াকলাপের প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমগুলোকে আলিঙ্গন করার চেষ্টা করছেন।
এই সময়ে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, এই নতুন বাস্তুতন্ত্রে বিকশিত হওয়ার জন্য মার্কেটাররা যা কিছু করেন তার কেন্দ্রে মানব সংযোগ থাকা দরকার” এ বছর ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড -এ ছিল ৯ টি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড, ২৬টি সিলভার অ্যাওয়ার্ড এবং ৪৩টি ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড। সর্বাধিক সংখ্যক পুরষ্কার জিতেছে এশিয়াটিক ৩৬০ এর উদ্যোগ মাইন্ডশেয়ার বাংলাদেশ, যারা ১৪ টি পুরষ্কার জিতেছে, এরপর এনালাইযেন এবং এক্স সলিউশন লিমিটেড পৃথকভাবে মোট ৮ টি পুরষ্কার জিতেছে।
এবারের ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড – এর চতুর্থ আসর সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ডিরেক্টর নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, “ডিজিটাল এবং স্পর্শনীয় মাত্রার দ্বৈত অস্তিত্বের এই যুগে আমাদের মানবিক সংবেদনগুলি আরও সক্রিয় করতে হবে। মার্কেটিং এবং সৃজনশীল পেশাদারদের জন্য সংযোগ, প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়ার জন্য সংখ্যাগুলো আবেগে রূপান্তরিত হওয়া উচিত। ডিজিটাল কন্টেন্ট হ’ল নতুন মার্কেটিং সম্ভাবনার জন্য নতুনত্বের পরবর্তী যুগ” চতুর্থ ডিজিটাল মার্কেটিং এ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর সাথে ডিজিটাল সামিটের সপ্তম আসরও অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলনটি দেশের ডিজিটাল মার্কেটিং প্রফেশনালদের তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য সর্বোচ্চ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সর্বজনবিদিত।
শীর্ষ সম্মেলনের এবছরের থিম ছিল ‘ব্রিংগিং ডিজিটাল এট দি কোর’, যার উদ্দেশ্য ছিল ছোট-বড় প্রতিটি সংস্থা তাদের গ্রাহককে বুঝতে, তাদের জন্য সমাধান তৈরি করতে এবং সেই সমাধানগুলি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে কেন তাদের ব্যবসায়কে ডিজিটাইজ করতে হবে সেই বিষয়ে আলোচনা করা।
ডিজিটাল সামিটের ৭ম সংস্করণে ছিল ৬ টি প্যানেল আলোচনা, ৫ টি কীনোট সেশন, ৩ টি ইনসাইট সেশন, ২ টি কেস স্টাডিজ, যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বক্তারা যোগ দেন। পাশাপাশি, স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা ছিলেন যারা একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন।
অধিবেশনটির প্রধান বক্তারা হলেন- রিশাদ টোবাকোয়ালা, লেখক, রিষ্টোরিং দি সোউল অব বিজনেসঃ স্টেয়িং হিউম্যান ইন দি এইজ অব ডেটা, প্রাক্তন চিফ গ্রোথ অফিসার, ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য, পাবলিসিস গ্রুপ; প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ডিজিটাস এলবিআই এবং রেজারফিশ; কাজী মনিরুল কবির, কান্ট্রি ডিরেক্টর, এইচটিটিপুল; ফ্রান্সিস নিকোলাস, গ্রুপ ডিজিটাল ডিরেক্টর, নোমাদ ফুডস; বরুন ভান্ডাকর, ম্যানেজার, কাস্টমার সাক্সেস অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড হাবস্পট এবং ভিটা গারফুলিনা, ব্যবসায় উন্নয়ন পরিচালক, এসকিমি।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিবেশনায় ও এইচটিটিপুল-এর পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনটির সহযোগিতায় ছিল ইভ্যালি ও দ্যা ডেইলি স্টার। ইভেন্টটি সাপোর্টে ছিল – আকাশ, বিওএল, এসকিমি; স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার- বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম; নলেজ পার্টনার- এমএসবি; টেকনোলজি পার্টনার- আমরা; ভিজ্যুয়াল পার্টনার- আতোশ; অনলাইন মিডিয়া পার্টনার – চ্যানেল আই; পিআর পার্টনার- ব্যাকপেজ পিআর; এবং ওয়েব সলিউশন পার্টনার – এক্সেন্দ্রা ইনোভেশন লিমিটেড।
-শিশির