৬০ মা পেলেন রত্নগর্ভা পদক!

অনলাইনঃ
বিক্রমপুরের লৌহজংয়ের ফাতেমা খানমসহ ৬০ জন মা পেয়েছেন ‘দি ইঞ্জিনিয়ার্স-রত্মগর্ভা মা ২০১৯’ পদক।

ফাতেমা খানমের ৯জন ছেলেমেয়ে। কেউ সচিব, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, কেউবা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার স্বামী প্রয়াত আইনজীবী খোরশেদ আলম। তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়েজিত ছিলেন।

প্রথম বারের মতো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) ঢাকা কেন্দ্র এবং দি ইঞ্জিনিয়ার্স ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে রত্মগর্ভা প্রকৌশলীদের মায়েদের এ সম্মাননা দেয়া হলো।

মূলত ইঞ্জিনিয়ার ছেলে-মেয়েদের কারণেই এই পদক পেলেন তিনি। ফাতেমা খানমের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ফেরদৌস আলম।

তিনি জার্মানীর হামবাগ ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। জার্মানীর ব্রিমেন ইইনিভার্সিটি থেকে এমএসসি ইঞ্জিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করে বর্তমানে বিশ্ববিখ্যাত BOCSH কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর আইইবি’র অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্মাননা পদক, ক্রেস্ট এবং সনদ তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরাসহ নেতারা। এসময় ‘রত্মগর্ভা’ উপাধি পেয়ে অনেক মা-ই আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

রত্নগর্ভা মা ফাতেমা খানম বাংলা’কে বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। আমার এক ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। ওর কারণেই আজ আমার এ পুরস্কার।’ তিনি জানান, আমার ছেলে মেয়েরা সবাই সমাজের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। কেউ সচিব, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ডাক্তার, কেউবা আবার আইনজীবী।

ছেলেমেয়েদের প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে কেমন গাইড লাইন দিতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি সব সময় খেয়াল রাখতাম। তাদের সার্বিক সহয়োগিতা করতাম। স্বপ্ন দেখাতাম বড় বড়।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তার বক্তব্যে বলেন, ‘মায়েরাই পারেন সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। মায়ের আদর্শে পরিচালিত করে সন্তানদের মাধ্যমে আদর্শ সমাজ, সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তুলতে পারেন।’

মন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরো বলেন, ‘আজকের শিশুরাই আগামীকাল রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। শিশুদের গড়ে তুলতে মায়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একজন মা শুধু মা’ই নন তিনি শিশুর প্রথম ও প্রধান শিক্ষক। সন্তানই মায়ের সঙ্গে সব চেয়ে বেশি সময় কাটায়। সব শিশুর শিক্ষার হাতেখড়ি মায়েদের হাতেই। মায়েরা যত আদর, ভালবাসা দিয়ে সন্তান পরিচর্যা করেন অন্যদের পক্ষে তা অসম্ভব। নারীদের অধিকার রক্ষায় বঙ্গবন্ধু সব চেয়ে বেশি কাজ করেছেন।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, সম্মানী সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মনজুর মোর্শেদ। সভাপতিত্ব করেন আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মো. ওয়ালিউল্লাহ সিকদার।

-ডিকে

FacebookTwitter