অনলাইনঃ
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশব্যাপী চলমান লকডাউনে অভাবগ্রস্থদের মানবিক সহায়তা ও খাদ্য সরবরাহের জন্য সরকার একটি জাতীয় হটলাইন চালু করেছে। আর তা হলো- ৩৩৩ বা ট্রিপল-থ্রী। নতুন এ সেবাটি চালু হয়েছে গত ৫ এপ্রিল থেকে।
এই হটলাইন নাম্বারে ইতোমধ্যে গত দুই দিনে ৫ হাজারেরও বেশি কল এসেছে বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচীর নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা অনির চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) ই-কমার্স দিবস উদযাপন উপলক্ষে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-সিএবি) আয়োজিত “মানবতার সেবায় ই-কমার্স কল” অনলাইন আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
অনির চৌধুরী বলেন, “সংক্ষিপ্ত এ কোডের সূচনা হওয়ার পরে, আমরা অনাহারে থাকা লোকদের কাছ থেকে কল পেতে শুরু করি। তৎক্ষণাৎ কলগুলো সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে স্থানান্তর করা হয় এবং তারা নির্ধারিত স্থানে ত্রাণ প্রেরণের জন্য তৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেন।”
তিনি বলেন, কোনওরকম প্রচার ছাড়াই সংক্ষিপ্ত কোডটি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসন কলকৃত ব্যক্তিদের প্রয়োজনের দিকে নজর দিচ্ছে।
আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, আইসিটি সচিব এনএম জিয়াউল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, “ব্যবসায়-বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা এখন বেশ কঠিন অবস্থানে রয়েছি। কারণ করোনা ভাইরাস সবকিছুর উপর বিধিনিষেধ তৈরি করেছে। ই-কমার্স এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।”
এর আগে, সরকার জনগণের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সংক্ষিপ্ত এ কোডটি ব্যবহার করেছিল। যাতে সংযুক্ত করা হয় আরও পাঁচটি ফোন নম্বর। ৩৩৩-এ ডায়াল করলেই সবগুলো হটলাইন নম্বরে কল ঢুকবে বলেই জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
গত ১৩ মার্চ রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরের কার্যালয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তখন তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে ৪ হাজার ৩২৯টি কল এসেছে। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসের তথ্য জানতে কল এসেছে ৪ হাজার ২১২টি। তবুও অনেকেরই অভিযোগ তারা নাকি হটলাইনে সংযোগ পান না। তাই নতুন করে আরও পাঁচটি নম্বর সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এখন থেকে ৩৩৩-এ ডায়াল করলেই সব হটলাইন নম্বরে প্রবেশ করা যাবে।
আইইডিসিআরের পরিচালক জানান, শুরুর দিকে মাত্র চারটি হটলাইন নম্বর ছিল। পরে আরও আটটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়নসহ (১৬২৬৩) মোট ১৩টি নম্বরে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত পরামর্শ দেয়া হয়।
-কেএম