অনলাইন রিপোর্টঃ
সোমবার (৩০ জুলাই) তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে শনিবার থেকে ওইসব নির্বাচনী এলাকায় ৪৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনী এলাকায় আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, রাজশাহীতে ১৫ প্লাটুন, বরিশালে ১৫ প্লাটুন এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে ১৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় অতিরিক্ত ৪ প্লাটুন করে বিজিবি সদস্য রিজার্ভ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো বিজিবি সদস্য মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে শনিবার মধ্যরাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হচ্ছে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট এই তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের যুগ্মসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান জানান, ওই তিন সিটির ভোটার নন এমন বহিরাগতদের শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার শেষবারের মতো আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য দলের মনোনীত প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের নিয়ে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন।
রাজশাহীঃ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মো. শফিকুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুরাদ মোর্শেদ (হাতী)।
বরিশালঃ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহ (নৌকা), বিএনপির মো. মজিবুর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ওবায়দুর রহমান মাহবুব (হাতপাখা), বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ (কাস্তে), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মনীষা চক্রবর্তী (মই) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল)।
সিলেটঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরান (নৌকা), বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (হাতপাখা), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের-বাসদ মো. আবু জাফর (মই) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসান মাহবুব জোবায়ের (টেবিল ঘড়ি), মো. এহসানুল হক তাহের (হরিণ) ও মো. বদরুজ্জামান সেলিম (বাস)।
তিন সিটিতে ৫৩০ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে, রাজশাহী সিটিতে সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বরিশালে মুজিবুর রহমান ও সিলেটে মো. আলিমুজ্জামন রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কমিশন সূত্র জানায়, তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। এ নির্বাচনে ভোটের আগের দু’দিন থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন থাকছে। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্র পাহারায় ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। বাকি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশালে ১০টি, রাজশাহীতে দুইটি ও সিলেটে দুইটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
-কেবি