১ লাখ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে

১ লাখ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে
১ লাখ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে

মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
American physician and diplomat who specializes in HIV/AIDS immunology, vaccine research, and global health, এছাড়াও তিনি হোয়াইট হাউজের করোনা টাস্কফোর্সের কর্মকর্তা ডাক্তার ডেবোরা ব্রিক্স বলেছেন, মানুষ সোশাল ডিসট্যান্সিং অথবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করলেও যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে কমপক্ষে ১ লাখ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার পর্যন্ত মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

ডেবোরা ব্রিক্সের আশঙ্কা বাস্তবে রূপ নিলে তা ভিয়েতনাম যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে। তবে এর চেয়েও বড় ভয়ের কথা শুনিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, সোশাল ডিসট্যান্সিং মেনে না চললে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা হবে ১৫ থেকে ২২ লাখ পর্যন্ত।

একটা বিষয় লক্ষ্য করা গেছে নিউইয়র্কে বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছে কুইন্স ও এলমহার্স্ট হসপিটালে। যারা করোনা আক্রান্ত নন, তারা ভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য এই দুই হসপিটালে গিয়ে করোনা পজিটিভে আক্রান্ত হয়েছেন, এবং এখনো হচ্ছেন।

আরও একটি সমস্যা আছে, ভেন্টিলেটর। রোগীর তুলনায় ভেন্টিলেটর কম। যদিও আরও নতুন ভেন্টিলেটর দেয়া হয়েছে এই দুই হাসপাতালে। কিন্তু ভেন্টিলেটেড হবার সুযোগ পাচ্ছেনা। হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের জন্য দীর্ঘলাইনে অপেক্ষামান অবস্থায় কয়েকজন বাঙালি মৃত্যুবরণ করেছেন। কয়েকজনের পরিবারের সাথে কথা বলে স্তব্ধ হয়ে গেছি। এমন দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুও হতে পারে? ভেন্টিলেটর সংকটের কারণে মৃতদের মিছিলে অসংখ্যজন যুক্ত হয়ে পড়ছে।

করোনাভাইরাসের আঘাতে হেলে পড়েছে আমেরিকা। গত ১০ দিনে ৫০ জন বাঙালির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মরণঘাতী করোনা। বেশিরভাগ বাঙালির নিউইয়র্কের। বুক ছিঁড়ে যায় তাঁদের স্বজনদের আহাজারির কথা শুনে। অনেকে জানেন না কোথায় কি অবস্থায় আছেন তাদের বাবা মা ভাই।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদুত্তর মিলছেনা। শত শত রোগী সামাল দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের বাইরে কান্নাকাটি করছে আত্মীয় পরিজনরা। আমরা জানিনা এর শেষ কোথায়!!

-শিশির

FacebookTwitter