গোলাম হোসেন ফারহানঃ
বাংলাদেশে এ বছর কোরবানির উদ্দেশ্যে হাট থেকে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৯৫ লাখ পশু। আমরা জানি হাটের বাইরেও একটা বিশাল অংকের পশু বিক্রী হয়।

ধরে নিই সেটার সংখ্যা ২৫ লাখ অর্থাৎ হাটের সংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। তাহলে, আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখ পশু এই বার কোরবানি হয়েছে।

ধরে নিচ্ছি এই ১ কোটি ২০ লাখ পশু কোরবানি দিয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ সাবলম্বী ধর্মপ্রাণ মুসলিম যাদের নেসাব পরিমাণ অর্থ ছিল অর্থাৎ বছর শেষে ৭.৫ ভরি স্বর্ণ কিংবা ৫২.৫ ভরি রূপার সম পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট ছিল।

বাংলাদেশের মোট ভোটার যদি ১১,৯১,৫১,৪৪০ জন হয় তাহলে কোরবানি দেওয়া ভোটারের পরিমাণ শতকরা ১০.৭২%।

২৬৮৭ ডলার করে অবদান ধরে বাংলাদেশের জিডিপিতে এই মানুষগুলোর মোট ব্যাক্তিগত সমষ্ঠিক অবদান ৩.৩৩%।

দুঃখজকভাবে হলেও সত্যি, বাংলাদেশ লেদার ইন্ডাস্ট্রির ব্যানারে যে ২০০ বা ২২০ টি ট্যানারি আছে তাদের মোট অবদান জিডিপি তে ০.৫% !!!

এবং আরও লজ্জাজনক হচ্ছে এই অবদানটা তারা করতে পারছে ঐ এক কোটি বিশ লক্ষ মানুষকে ঠকিয়ে সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজির মত করে আলাদা আলাদাভাবে প্রত্যেকটি মানুষের কাছ থেকে প্রায় বিনা পয়সায় চামড়া ডাকাতি করে।

যেখানে দিনকে দিন চামড়াজাত পন্যের দাম বেড়েই চলেছে, সেখানে কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে ইয়াতিমদের হক।

সরকারের উচিৎ আরও একবার ভাবা,উনারা এই ২২০ জন সমষ্টিগত ডাকাতদের বাঁচিয়ে রাখতে আর কতদিন ১,২০,০০০০০ স্বতন্ত্র সত্তাকে ঠকানো সাপোর্ট করে যাবে? অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের একটা কথা মনে পড়ে গেলো, “আজকাল আমাদের দেশে দেখবেন, ভালো মানুষেরা বিচ্ছিন্ন।

ভালো মানুষদের মধ্যে যোগাযোগ নেই। তাঁরা একা, পরস্পরকে খুঁজে পান না! কিন্তু যারা খারাপ, তারা খুবই সংঘবদ্ধ।

এক শয়তান হুক্কা হুয়া দিলে মুহূর্তে সব শয়তান বলে ওঠে ক্যায়া হুয়া, ক্যায়া হুয়া “।

-শি

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily