অনলাইন ডেস্কঃ
মিয়ানমার এবার নতুন আলোচনায় জড়ালো। বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করছে দেশটি। এর প্রতিবাদে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও-কে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খুরশেদ আলমের দফতরে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের ২০১৫-২০১৮ সালের ম্যাপে আমাদের সেন্টমার্টিন দ্বীপকে তাদের সীমানার অংশ দেখানো হচ্ছে।
বিষয়টা বাইরের ম্যাপটা দেখলে বোঝা যায় না। কিন্তু ভেতরে ঢুকলে বিষয়টা স্পষ্ট হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এর কড়া প্রতিবাদ করেছি। বলেছি, এটা ঠিক নয়, এটা ঠিক করো। এছাড়া মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের হাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে মালিকানার দাবির বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি কূটনৈতিক পত্র দেয়া হয়-বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়, সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের অংশ। তার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। পাশাপাশি ওই চিঠিতে মিয়ানমারের এমন আপত্তিকর কাজের জবাবও চাওয়া হয়।
সেন্টমার্টিনের অংশ দাবি করে মিয়ানমার এবার নতুন আলোচনায় জড়ালো। এর আগে গত বছর বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
আর মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত এই নিধনের জন্য সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করে তাদের বিচারের দাবি জানায় জাতিসংঘ।
কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনী সকল অভিযোগ অস্বীকার করে রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করে বলছিলো, এটি ছিলো কেবল বিদ্রোহীদের মোকাবেলোর কৌশল।
-আরবি