আইন আদালতঃ
বহুল আলোচিত মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
কনডেম সেল মূলত কারাগারের ভেতরে থাকা আলাদা কক্ষ যেখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের রাখা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগ পর্যন্ত বন্দীদের সেই সেলে থাকতে হয়। কারাগারে অন্যান্য বন্দী বা কয়েদিদের চেয়ে কনডেমড সেলে থাকা কয়েদিদের আচরণবিধিও ভিন্ন।
জেল কোড অনুযায়ী তাদের সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেল সুপার নেছার আলম।
মো. নেছার আলম বলেন, নিয়মানুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীকে কারাগারের সাধারণ সেল থেকে সরিয়ে নির্ধারিত পোশাক পরিয়ে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য আলাদা কোনো কনডেম সেল নেই।
এই কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এলে কিছু কক্ষকে কনডেম সেল ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয়। জেল কোড অনুযায়ী তাদের প্রতিদিন খাবার ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সিনহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি কয়েদি হিসেবে গণ্য হবে। এ কারণে তাদের অন্য কয়েদিদের সঙ্গে সেলে রাখা হবে। একই সঙ্গে খালাস পাওয়াদের বিষয়ে আদালতের কাগজপত্র এলে মুক্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করা হয়। প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়। আদালত কক্সবাজারের র্যাব-১৫-কে মামলাটির তদন্তভার দেন।
-টিপু