অনলাইনঃ
বেশ কয়েকদিন ধরে অভিযানের পর অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে।
১৫ জুলাই, বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে সাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে উত্তরায় মিলেছে মো. সাহেদের একটি কথিত ‘ল-চেম্বার’। যার অবস্থান ছিলো উত্তরার-১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর ভবন সিএইচএল বায়তুল এহসানে।
সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে সেখানে আজ অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে প্রায় দেড় লাখ জাল টাকা ও কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে সাহেদকে আবারো নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরার র্যাব সদর দপ্তরে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘এটি সাহেদের দ্বিতীয় অফিস। এ ব্যাপারে আগে জানতে পারেনি র্যাব। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার এই অফিসের তথ্য পাওয়া যায়।’
সিএইচএল বায়তুল এহসানের চতুর্থ তলায় অভিযানের সময় ভবনটির সামনে অবস্থান নেন বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমও অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযানে এক লাখ ৪৬ হাজার জাল টাকা পাওয়া গেছে।
ওই ভবনের তত্বাবধায়ক তারা মিয়া জানান, সাহেদ করিমের লোকজন দুই মাস আগে চারতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। ফ্ল্যাটের ভাড়া ৩০ হাজার টাকা। ভাড়া নেয়ার সময় সাহেদের লোকজন বাড়ির মালিক ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। তখন তারা জানান, সেখানে সাহেদ করিমের ল-চেম্বার হবে।
-কেএম