সর্বোচ্চ করদাতা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

২০১৯-২০ অর্থবছরের সর্বোচ্চ করদাতার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
২০১৯-২০ অর্থবছরের সর্বোচ্চ করদাতার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

অর্থনীতিঃ
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (বাংলাদেশ) সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ব্যাংকিং ক্যাটাগরিতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সর্বোচ্চ করদাতার স্বীকৃতি পেয়েছে।

জাতির উন্নয়নে আদর্শ করদাতা হিসেবে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শীর্ষ করদাতা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করেছে বাংলাদেশের কর প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক-এর পক্ষ থেকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন ব্যাংকটির চিফ ফাইন্যান্সিয়্যাল অফিসার মো. আব্দুল কাদের জোয়াদ্দার ।

তিনি বলেন, “রাজস্ব আদায়ে দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশীয় সম্পদ সংহতকরণ এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কর ও রাজস্ব সংগ্রহের জন্য ধারাবাহিক অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের একটি অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের অগ্রগতি অর্জনে সহায়ক হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হতে পেরে সত্যি আনন্দিত।”

দীর্ঘ ১১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক, যার রয়েছে বাংলাদেশে দৃঢ় স্থানীয় উপস্থিতি এবং এর বৈশ্বিক পরিধি ও পণ্য কাজে লাগানোর সক্ষমতার অনন্য এক সংমিশ্রণ।

বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের একজন হিসেবে ব্যাংকটি নিজেই দেশে বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে আসা এবং বিদেশী বিনিয়োগকে সহজ করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য লেনদেনের মধ্যে বাংলাদেশের একক বৃহত্তম বিদেশী বেসরকারি বিনিয়োগ লেনদেন, যা বাংলাদেশের জন্য এ যাবৎকালের একক বৃহত্তম ভোক্তা খাত অধিগ্রহণ ছিল তার এক্সক্লুসিভ ফাইন্যান্সিয়্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেছে এই ব্যাংক।

২০১৮ সালে ব্যাংকটি ঢাকা স্টক এক্সেঞ্জে যেকোন বিদেশী স্টক একচেঞ্জের জন্য প্রথমবারের মতো সম-অংশগ্রহণ সুবিধা চালু করে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড “বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট” শীর্ষক ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই ইভেন্টের অধীনে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর, হংকং এবং লন্ডনে ছয়টি বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

-কেএম

FacebookTwitter