শিক্ষাঃ
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে তবেই ১৩ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় সবাইকে সুসময়ের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলেছেন তিনি।
সেইসঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ থাকার বিষয়ে দ্বিমুখী চাপের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৯ মে) দুপুরে, জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর স্মরণ সভায় অংশ নিয়ে তিনি একথা জানান। এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। সংক্রমণের হার কমলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৩ জুন খুলে দেয়ার চেষ্টা থাকলেও খুলে দেয়ার ম্যাসেজ থেকে বন্ধ রাখার ম্যাসেজ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রচেষ্টা আছে। যেকোন সময় চাইলে খুলে দেয়া যায়। যারা আন্দোলন করে যাচ্ছেন খুলে দেয়ার জন্য তাদের মধ্যে সবার মতামত প্রতিফলিত হয় না। অনেক অভিভাবক সেখানে কথা বলতে পারেন না। আমার কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার থেকে বন্ধ থাকার ম্যাসেজ বেশি আছে।’
আরও বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সংক্রমণ শতকরা ৫ ভাগের নিচে নামলে খুলে দেয়া অনুচিত হবে। তবে আমরা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। দিন দিন সেটা আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে।’
দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজে খোলার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা ছিল ২৪ মে। কিন্তু দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। আরও এক দফা বাড়িয়ে ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়।
এর মধ্যে বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সশরীরে ও অনলাইনে নেয়ার অনুমতি সম্বলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এই চিঠি পাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, আবাসিক হল না খোলার শর্তে স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের সম্মতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ এবং ইনিস্টিউটগুলো স্বশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে। এ ব্যাপারে প্রস্তুতিও চলছে।
চলমান পরিস্থিতিতে অ্যাকাডেমিক লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সুপারিশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেকোনো উপায়ে তাদের পরীক্ষা নিয়ে নেব। সেটা অনলাইনে হোক বা ক্লাসে উপস্থিত হয়ে। সেখানে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়া হবে।’
-টিবি