আন্তর্জাতিকঃ
ইতোমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সেই তালিকা থেকেই জানা যাচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে রায়বেরিলি থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন সোনিয়া গান্ধী।
কয়েক মাস আগে ছেলে রাহুল গান্ধীর হাতে তুলে দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব। এরপর থেকেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে বেশ কিছুটা দূরে সরে গিয়েছিলেন সোনিয়া। অসুস্থতার কারণেই রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও সব জল্পনা উড়িয়ে রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করেছেন। সম্প্রতি কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশ(পূর্ব)-র সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও নির্বাচিত করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।
যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশ বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। সেক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে কোনোরকম কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কংগ্রেস। সেই কথা মাথায় রেখেই কংগ্রেসের শক্তিশালী ঘাঁটিতে সোনিয়া গান্ধিকেই প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কংগ্রেস।
সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি এবং দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হন সোনিয়া গান্ধী। ১৯৯৯ সালের নড়বড়ে দলে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হন তিনি। কিন্তু দলের ভেতর নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ জন্মাতে শুরু করে। এর ফলে ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে সরকার গঠনে ব্যর্থ হন সোনিয়া। তবে আমেঠি এবং রায়বেরিলিতে বেশ কিছুটা ভোটে এগিয়ে ছিলেন তিনি। রায়বেরিলিতে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বেশ কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন সোনিয়া। তবে তিনি যেহেতু দেশের নাগরিক ছিলেন না। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বারবার বিরোধী দলের রোষের মুখে পড়েন তিনি। এভাবেই নানা বাধার মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলে তাঁর রাজনৈতিক জীবন।
বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন সোনিয়া গান্ধী। কিছুদিন আগে শিমলায় ঘুরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কংগ্রেসের এই নেত্রী সভানেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। পরে বিশেষ বিমানে তড়িঘড়ি তাকে ফেরানো হয় দিল্লিতে।
-জি/এম