অনলাইনঃ
সুনাম দেবনাথ নির্দেশদাতা, সে কেন এই মামলার আসামি হলো না। মিন্নি কেন ৭ নম্বর আসামি? আমরা সুনাম দেবনাথের লোক-পুলিশ পাহারায় আদালতে হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিকদের দেখে এমন মন্তব্য করেছেন রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামি রিশান ফরাজী।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার নিয়মিত ধার্য তারিখে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
এসময় আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ছয় কিশোরকে যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিন্নিসহ আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে প্রিজন ভ্যানের ফাঁক দিয়ে বাইরের মানুষজন ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে রিশান বলেন, ‘আমরা সুনাম দেবনাথের লোক।‘ এসময় তিনি এই কথা বলেই আবার নিজেকে লুকিয়ে ফেলেন।
এরপর প্রায় আধাঘণ্টা পর আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানে ওঠার মুহূর্তে রিশান ফরাজী বলেন ওঠেন, ‘সুনাম দেবনাথ নির্দেশদাতা, সে কেন এই মামলার আসামি হবে না।’
এসময় রিশান ফরাজীসহ আরো কয়েকজন আসামি বলেন ওঠেন, ‘মিন্নি কেন ৭ নম্বর আসামি’। তবে কেন, কী কারণে মিন্নিকে নিয়ে এমন কথা বলা হয়েছে তার কারণ জানা যায়নি।
এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমপি-পুত্র সুনাম দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের চিরচেনা প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে রিশান। আমাদের রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এসব করাচ্ছে। বরগুনাবাসী সকলের কাছে স্পষ্ট এরা কার লোক।’
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্ত বয়স্ক ১ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১ নম্বর আসামি রিশান ফরাজী বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রা-পুত্র।
অভিযোগ রয়েছে, দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শামসুন্নাহার খুকীর সঙ্গে নিহত রিফাতের এক সময় বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল। সেই প্রতিশোধ নিতেই রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার সময় রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায়।
মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আমার মেয়েকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। যে প্রভাবশালী মহল খুনিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমার মেয়েকে ফাঁসাচ্ছে, আমি পিবিআই তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’