রাজশাহীর টিপু রাজাকারের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ

অনলানইঃ

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা রাজশাহীর মো. আবদুস সাত্তার ওরফে টিপু সুলতান ওরফে টিপু রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন।  

১১ ডিসেম্বর, বুধবার মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার ৪১ তম এ রায় দেন।

এর আগে আসামি টিপু সুলতানের উপস্থিতিতে গত ১৭ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় রাজশাহীর বোয়ালিয়া এলাকায় নিরিহ মানুষকে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটতরাজসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, জাহিদ ইমাম ও সাবিনা ইয়াসমীন খান মুন্নী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

এ মামলাটির তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজশাহীর বোয়ালীয়ায় দশজনকে হত্যা, দুইজনকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে নির্যাতন, ১২ থেকে ১৩টি বাড়ির মালামাল লুট করে আগুন দেওয়ার অপরাধ উঠে এসেছে তদন্তে। এসব অপরাধে এ আসামির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি আর্মি ও স্থানীয় রাজাকাররা। স্থানীয় সেইসব রাজাকারদের মধ্যে টিপু সুলতানই বেঁচে আছেন। তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’

আব্দুল হান্নান আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামী ছাত্র সংঘ’ পরবর্তীতে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৪ সালের পর থেকে রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ মার্চ এ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে একই বছরের ৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

FacebookTwitter