অর্থনীতিঃ
‘যখন যা দরকার, নিম্ন আয়ের মানুষজনের জন্য তা করা হবে। এ ব্যাপারে যদি কোনো নির্দেশনা আসে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা করা হবে।’
চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাড়তি প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে সরকারে পরিকল্পনার বিষয়ে এমনটাই বললেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
বুধবার (৭ এপ্রিল) অর্থনৈতিক বিষয়ক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যখন যা দরকার, তাদের (নিম্ন আয়) জন্য তা করা হবে। বিষয়টি অন্য মন্ত্রণালয় দেখভাল করে। এ ব্যাপারে যদি কোনো নির্দেশনা আসে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা করা হবে। আমরা সব সময় প্রস্তত আছি।’
অর্থ ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট সাতটি দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি দেয়ার ফলে শ্রমজীবী মানুষের আয় রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। তাদের সুরক্ষায় তখন সারা দেশের দুই কোটি দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে নগদ দেয়া হয়। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সারা দেশে জনসাধারণের চলাচলে সাতদিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
এ অবস্থায় স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বাড়ায় সরকারি মহলে তাদের জন্য নতুন করে প্রণোদনার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের কল্যাণ করা। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। কাজেই, কেউ যদি কষ্ট পান, তাদের সুরক্ষা দেয়া সরকারের কর্তব্য।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রণোদনা প্র্যাকেজ অর্থ মন্ত্রণালয় তৈরি করলেও প্রতিটি প্যাকেজ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হয়েছে। আমরা তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করছি।’
চলতি বছর বাংলাদেশের জিডিপি ৫ শতাংশ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আইএমএফ, এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের প্রাক্কলন সঠিক নয়। বাস্তবতার সাথে সামাঞ্জস্য নেই। তারপরও ওনারা (আইএমএফ) ভালো বলেছেন, আমরা সাধুবাদ জানাই।’
-কেএম