অনরাইনঃ
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার জনপ্রিয় লেকফ্রন্ট হাতিরঝিলের পরিচ্ছন্নতার একটি উদ্যোগের নেতৃত্বে সিএসআর পরামর্শ, বাস্তবায়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিএসআর উইন্ডো-এর সাথে কাজ করছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এফএমসিজি কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড।
সকলের মাঝে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষায় সকলের প্রচেষ্টাকে প্রচার করাই ছিলো এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ম্যারিকো বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্ট টিমের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক এবং সিএসআর উইন্ডো-এর আয়োজক দল সহ ৩০ জন এর বেশি স্বেচ্ছাসেবকের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা গিয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবকেরা সারাদিন হাতিরঝিল লেক থেকে ২০ কেজির বেশি প্লাস্টিক ও আবর্জনা সংগ্রহ করেছেন। তারা পরিচ্ছন্নতা প্রচেষ্টার পাশাপাশি বসবাসরত জনগোষ্ঠীসহ সকলকে ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে লেকের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য সংরক্ষণের প্রতি আহ্বান জানান।
ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ট্যালেন্ট ভ্যালু প্রোপোজিশন (টিভিপি)-এর প্রকল্প হিসেবে “বি দ্য ইমপ্যাক্ট”-এর অধীনস্থ এই উদ্যোগটি সামাজিক ও পরিবেশগত বিভিন্ন দায়িত্বের প্রতি অঙ্গীকার ও ইতিবাচক প্রভাব প্রদর্শনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
দেশের দায়িত্বশীল কর্পোরেট নাগরিক হিসেবে, ম্যারিকো বাংলাদেশের কর্মীরা তাদের সময়, দক্ষতা এবং প্রচেষ্টা দিয়ে সারা বছর ধরে বিভিন্ন এলাকার সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টায় সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে মানবতার সম্মিলিত শক্তিকে প্রদর্শন করা হয়েছে।
ম্যারিকো বাংলাদেশের ডিরেক্টর-এইচআর কে এম সাব্বির আহমেদ বলেন, “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়াসস্বরুপ এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে সমাজ ও পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত।
দায়িত্বশীল কর্পোরেট নাগরিক হিসেবে আমাদের জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা বিশ্বাসী।
আমরা আমাদের কাজে অংশীদার সকল স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি যারা এই মহৎ কাজের শক্তি ও উৎসাহের যোগান দিয়েছে।”
সিএসআর উইন্ডোর প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার সাদমান সাকিব অনিক বলেন, “সমাজ ও জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সিএসআর ভিত্তিক কর্মকান্ড এবং টেকসই পদক্ষেপ নিশ্চিতে ম্যারিকো বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এছাড়াও, আমরা সমাজ ও জনপদের উন্নয়নে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার এইসকল প্রয়াসকে সকলের সামনে তুলে ধরে নিজেদের একটি রোল মডেল হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আমরা আশা করি, এই ইভেন্টটি আরও বেশি লোককে স্বেচ্ছাসেবক হতে অনুপ্রাণিত করবে এবং দেশব্যাপী সমাজ সেবায় এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে।”
এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানটি সফল করতে প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক ৩ ঘন্টা করে সময় দিয়ে সকলে মোট ৯০ ঘন্টার বেশি সময় কাজ করেছেন।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানের এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক ইতিবাচক পরিবর্তনকেই প্রতিফলিত করে না বরং দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত প্রভাব মোকাবেলা করার লক্ষ্যে ও একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ম্যারিকো বাংলাদেশ এবং সিএসআর উইন্ডোর প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে।
-শিশির