প্রতিদিন ৪০ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতেন মোস্তাফা জব্বার’ একটি জাতীয় দৈনিকে এমন খবর প্রকাশের পরই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। সেই খবরে নিজেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রীর দাবি, ওই পত্রিকা মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। আমি প্রতিদিন ৪০ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে ক্লাস করে আবার ফিরে আসতাম, এটা যদি কেউ সুস্থ মাথায় লেখে, তার কী হওয়া উচিত আমি জানি না। আর হাওর এলাকা সম্পর্কে আইডিয়া নেই, ক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটতে হয়।’
স্কুলে পড়ার সময় হোস্টেলে থাকতেন জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘আমার স্কুল ৪০ কিলোমিটার দূরে, এটাতো কোনো অপরাধ না। আমি ওখানে স্কুলের হোস্টেলে থাকতাম। তো হোস্টেল থেকে বাড়ি এসেছি হেঁটে, বাড়ি থেকে হেঁটে হোস্টেলে গেছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘তো এর মধ্যে আমি খুঁজেই পেলাম না যে, যারা মন্তব্য করছেন, তারা মিনিমাম এটুকু জ্ঞান করবেন না, এটুকু মাথার মধ্যে কাজ করবে না? অন্য সেন্সেরও দরকার নেই, লেখাপড়ারও দরকার নেই, খুবই কমনসেন্স।’
হাওর এলাকার রাস্তাঘাট সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘একটা লোকের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরুত্ব ৪০ কিলোমিটার হতেই পারে। হাওর এলাকাতে রাস্তাঘাট বলতে কিছু নেই। হাঁটা ছাড়া এখনো কোনো চলাচলের পথ নেই। আমি পড়েছি ১৯৬১ সালে, ৬১ সালে ক্ষেতের আইল ছাড়া কিছু ছিল না। এখনো সেই অবস্থাই আছে। তো এটা তো স্কুলের অপরাধ না, আমারও অপরাধ না। প্রতিদিন ৪০ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে গিয়ে বাড়ি ফিরে আসতাম, পাগল ছাড়া এটা কেউ লিখতে পারে না।’