অনলাইন ডেস্কঃ

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকায় সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যেখানে হাইকোর্টের রায় আছে যে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ওইভাবেই সংরক্ষিত থাকবে, তাহলে হাইকোর্টের রায় আমরা কীভাবে ভায়োলেট করব?

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আর আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার আমরা করব। আমি তো বলেছিলাম, টোটাল বাদ দিতে। হাইকোর্টের রায় আছে। হাইকোর্টের রায় অবমাননা করে তখন তো আমি কনটেম্পট অব কোর্টে পড়ে যাব। এটা তো কেউ করতে পারবে না। কিন্তু আমরা তো কেবিনেট সেক্রেটারিকে দিয়ে একটা কমিটিও করে দিয়েছি। তারা সেটা দেখছেন। তাহলে এদের অসুবিধাটা কোথায়? আমার সেখানে প্রশ্ন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, উচ্ছৃঙ্খলা তো বরদাশত করা যায় না। ভিসির বাড়িতে সিসি ক্যামেরা ভেঙেছে। মনিটরিংয়ের চিপটিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যেন এদের চেহারা দেখা না যায়। তবে এটা তারা জানে না আশপাশে অনেক জায়গায় আরো ক্যামেরা ছিল। যারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের ছাড়া হবে না। তাদের ছাড়া যায় না। তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে। অনেকে স্বীকারও করেছে।

আগের চেয়ে দেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে, নিশ্চিত হয়েছে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা; এমনকি ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বলে এ সময় জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তারপর খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করেছি। দুই কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত বা অর্ধাহার কথাটা কিন্তু সঠিক নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে যদি আবার আসতে পারি, বক্স-কালভার্টগুলো ভেঙে উন্মুক্ত করে দিব।

তিনি বলেন, আমার একটা প্ল্যান আছে খালের ওপর দিয়ে এলিভেটর রাস্তা করে দিব।

-ডিকে

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily