আন্তর্জাতিকঃ
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের দমনে দেশটির সামরিক বাহিনী মাঠে নেমেছে। রাস্তাগুলোতে সাঁজোয়া যান নামিয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার রাত ১টা থেকে ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্য কাচিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গতকাল একটি বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে। অভ্যুত্থানের পর টানা নবম দিনের মতো চলা বিক্ষোভে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে। রোববার সারাদেশে র্যা লি করে বিক্ষোভকারীরা। কাচিনের রাজধানী মিতকিনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো গতকাল ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় অস্ত্রবাহী সাঁজোয়া যান চলতে দেখা গেছে।
মিয়ানমারের টেলিকম অপারেটররা জানায়, তাদেরকে রাত ১টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান নেটব্লক জানায়, এই আদেশ কার্যকর হওয়ার পর ইন্টারনেটের গতি ছিল স্বাভাবিক অবস্থার ১৪ শতাংশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নেপিদোর এক চিকিৎসক জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাতের বেলায়ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। আমি এখনও উদ্বিগ্ন যে তারা রাত ৮টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত বাইরে না যেতে কারফিউ জারি করেছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই পুলিশ আর সৈনিকরা আমাদের গ্রেপ্তার করছে।
অপরদিকে পশ্চিমা দূতাবাসগুলো সামরিক বাহিনীকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানাই তারা যেন বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংযত আচরণ করেন, যারা তাদের বৈধ সরকারের উৎখাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।’
-কেএম