অনলাইনঃ ‘তুই স্যারকে কল দিলি কেন? তুকে কে বলছে কল দিতে। তোর এক কলেই আমাগোর সব ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পথে’ এই কথা বলেই সুমনকে এলোপাতারি কোপানো শুরু করে শাহিন ওরফে বল্লা শাহিন।
এ সময় সুমনকে আটকে রাখে ফুটা আলমগীর ও মাসুম। এ পর্যায়ে সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায় সুমন। গত ১৩ই জুন রাত সাড়ে নয়টার দিকে মিরপুরের কালভার্ট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনায় পরের দিন নিহতের বাবা মফিজ মিয়া মিরপুর মডেল থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় এজহারভুক্ত আসামী হিজবুল্লাহ নুর আকাশ, বল্লা শাহিন (৩০), মাসুম হাওলাদার (৩৩), আবদুল মজিদসহ (২৮) সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া শেওড়াপাড়ায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতো। সে তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। এক সময় সুমন ও বল্লা শাহিন এক সঙ্গে চলাফেরা করত।
একদিন বল্লা শাহিন সুমনকে তার সঙ্গে মাদক ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়। এতে সুমন রাজি না হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। এর কদিন পর সুমন ও তার বন্ধু সোহেল মোল্লা রাত ৮টার দিকে মিরপুরের কালভার্ট এলাকায় পিঠা খাওয়ার জন্য গেলে বল্লা শাহিন ও তার লোকজন তাদের পথরোধ করে। এক পর্যায়ে চাকু দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে সুমনকে। এতে সোহেল বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে বল্লা শাহিনের লোকজন। পরে সুমনকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেএম