অনলাইন ডেস্কঃ

জয়পুরহাটে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৭ জন মারা গেছেন। একই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন একজন।

বুধবার রাতে জয়পুরহাট শহরের আরামনগর এলাকার এক বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

যারা রাতেই মারা যান তারা হলেন, আবদুল মুমিন (৩৭), তাঁর মা মোমেনা বেগম (৫২), বড় মেয়ে বৃষ্টি বেগম (১৪)। ওই রাতেই দগ্ধ হন মুমিনের বাবা দুলাল হোসেন (৫৮) ও স্ত্রী পরিনা বেগম (৩২), যমজ দুই মেয়ে হাসি ও খুশি (১২) ও এক বছরের শিশুপুত্র তাইমুল ইসলাম। রাতেই তাঁদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স করে তাঁদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

ঢাকায় নেওয়ার পথে মুমিনের স্ত্রী পরিনা বেগম, মেয়ে হাসি, খুশি ও শিশু তাইমুল মারা যায়। মুমিনের বাবা দুলাল হোসেনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসাধীন দুলাল হোসেন জানান, রাত নয়টার দিকে বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে সবাই শুয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ করে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। তখন বাইরের লোক এসে কয়েকজনকে উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী সেলিম হোসেন বলেন, তাঁরা ওই বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন। তখন বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় জানালা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনজন বাড়িতেই মারা যান। খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নেভায়।

জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাঁদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।

জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, রাতেই দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা হাসপাতালেই দেওয়া হয়েছে। দগ্ধ পাঁচজনের শরীরে ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁরা আশঙ্কাজনক ছিলেন।

জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন ও পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান হাসপাতালে যান এবং তাঁদের ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

-আরবি

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily