বর্তমান প্রেক্ষাপটে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিদিনই নানা রকম খবর ও মতামত প্রকাশিত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্রে। প্রায় সবগুলোতেই উঠে আসছে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা মতামত।
চীনের বহুল প্রচারিত সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বাংলাদেশ নির্বাচন: শেখ হাসিনার চীন-ভারত ভারসাম্য রক্ষার নীতি কি ক্ষমতায় থাকার জন্য যথেষ্ট? শিরোনামে নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের সরকারের আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক উন্নতি করেছে। কমেছে দারিদ্র্যের হার। ব্যাপক হারে বেড়েছে চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ।
সোমবার লন্ডন ভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিশাল নিবন্ধ প্রকাশ করে। এটির শিরোনাম ছিলো, বাংলাদেশের সামনে ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির মধ্যে যেকোন একটি বেঁচে নেয়ার নির্বাচন। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়। পাশাপাশি বলা হয় গণতন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলেছেন তিনি।
ফিনান্সিয়াল টাইমসকে মানবাধিকার কর্মী মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও শেখ হাসিনা নির্বাচনে জিততে পারেন। কারণ এর আগে খালেদা জিয়ার আমল ছিলো দুর্নীতি, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের আমল। জাপানের সর্বাধিক প্রচারিত আশাহি সিম্বুন পত্রিকায় বাংলাদেশ ইস্যুতে মঙ্গলবার প্রকাশিত খবরের শিরোনাম করা হয়, ‘নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের পোশাক খাতে বিক্ষোভের ধাক্কা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট, এপি, ভারতের দ্য হিন্দুসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয় সেনা মোতায়েনের ঘটনা। ওয়াশিংটন পোস্ট একটি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধীদলের ওপর বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে।
মঙ্গলবার নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে গণগ্রেপ্তার চলছে বলে অভিযোগ বিরোধীদলের, এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা।
এদিকে, ভারতের প্রভাবশালী টেলিগ্রাফ পত্রিকা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ উপসম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বই নিয়ে লেখা রবিবারের ওই উপসম্পাদকীয়র শিরোনাম ছিলো, বাংলাদেশ যে কারণে পাকিস্তানের প্রতিচ্ছবি।