স্পোর্টস ডেস্কঃ
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। রংপুর রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের দেয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য ২ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই টপকে যায় ২০১৫ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
এভিন লুইস ৫৩ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৫ বলে ৩৪ রানের ক্যামিং ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শামসুর রহমান শুভ।
হেরেও মাশরাফীর রংপুর আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে ফাইনালের পথে লড়ার। বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস। ওই ম্যাচে জয়ী দলের সঙ্গে ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল খেলবে ইমরুল-তামিমদের কুমিল্লা।
১৬৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ তাড়ায় নেমে শুরুটা ধীরগতির হলেও সময়ের সঙ্গে ঘোরে কুমিল্লার রানের চাকা। বড় হতে থাকে জুটিও। এভিন লুইস ও এনামুল হক বিজয় দ্বিতীয় উইকেটে ৯০ রান যোগ করে তৈরি করে দেন জয়ের পথ।
শেষ ৫ ওভারে দরকার পড়ে ৪১ রান। জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হন এনামুল। ৩২ বলে দুটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৩৯ রান করেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
লুইসের সঙ্গে শামসুর জুটি বাধলে দ্রুতই জয়ের নাগাল পায় কুমিল্লা। ৪টি চার ও ২ ছয়ে শামসুর শেষে একপেশে বানিয়ে ফেলেন ম্যাচ।
লিগপর্বে মুখোমুখি দেখায় রংপুরের কাছে দু’বারই শোচনীয় হারের পর কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল কুমিল্লা। নিল মধুর প্রতিশোধও।
ইনিংসের গোড়পত্তন করতে নেমে সতর্ক হয়েই ব্যাট চালান তামিম ইকবাল ও লুইস। কিন্তু পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসা মাশরাফীর পঞ্চম বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের কানায় লাগলে মিডঅনে হাওয়েলের সহজ ক্যাচে পরিনত হন তামিম। ৩৫ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। একটি ছয় ও একটি চারে ১৪ বলে ১৭ রান করেন যান তামিম।
শুরুতে তামিমকে হারালেও ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হয়নি কুমিল্লার। লুইস-এনামুল-শামসুর মিলে সহজেই জয় নিশ্চিত করেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে এসে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরেরও। চোটের কারণে ছিটকে যাওয়া হেলসের জায়গায় ওপেনিংয়ে নেমে ১ রানের বেশি করতে পারেননি মেহেদী মারুফ।
দ্রুত সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুনও। ব্যক্তিগত ৩ রানের সময় রানআউট হন। এরপর রাইলি রুশোকে নিয়ে সংগ্রহ বাড়ানোয় মন দেন ক্রিজ গেইল। দ্রুত রান তুলতে না পারলেও মাঝে মধ্যেই বড় শটে চেনারূপের আভাস দিচ্ছিলেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য ৪৬ রানের বেশি আগাতে পারেননি ক্যারিবীয় তারকা। ৬ চার ও এক ছক্কায় তার ৪৪ বলের ইনিংসটি থামে মেহেদীর বলে পেরেরাকে ক্যাচ দিয়ে।
ফিরে যাওয়া ডি ভিলিয়ার্সের জায়গায় নেমে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি রবি বোপারাও। রুশো তখনও ছিলেন। বেনি হাওয়েলকে নিয়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। দুজনে যোগ করেছেন ৭০ রান।
রুশো ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৪ করে ফিরলে ভাঙে জুটি। হাওয়েল শেষঅবধি ছিলেন। তুলে নিয়েছেন ফিফটি। দলকে দেড়শ পার করিয়ে দেয়ার পথে তার অবদান ৫৩, ২৮ বলের ইনিংসটিতে ৩ চার ও ৫ ছক্কার মার।
-ডিকে