অনলাইনঃ
আসন্ন ঈদুল-আযাহাতে দেশেই পর্যাপ্ত কোরবানীর পশু থাকায় দেশীয় বিক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় ঈদের আগ পর্যন্ত সীমান্তপথে বৈধ ও অবৈধভাবে সব ধরনের গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খানের সভাপতিত্বে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও ওই সভাতে কোরবানির পশুর সংখ্যা নিরূপণ, হাটে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা এবং পশুবাহী গাড়ি ছিনতাই রোধের করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ওই সভায় জানানো হয়, দেশ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। আগে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৯২ হাজার।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, এবার সারা দেশে কোরবানির যোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশু রয়েছে। এছাড়া ঈদে ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ঈদে কোরবানির যোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতো।
এবার ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটে পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটে দুটি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে।
এছাড়াও স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইনজেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী পশু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা ও অতিরিক্ত হাসিল আদায় রোধ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর গুরেত্ব আরোপ করনে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাথুরাম সরকার প্রমুখ।