বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ইন্দোনেশিয়া সফরের সুযোগ

বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ইন্দোনেশিয়া সফরের সুযোগ
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ইন্দোনেশিয়া সফরের সুযোগ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিঃ
ডিজিটাল ইকোনমি, স্টার্টআপ ইনভেস্টমেন্ট এবং ই-কমার্স খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়ার সরকার ও দু’দেশের ব্যবসায়ীরা।

এলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার এটু্আই, ইন্দোনেশিয়ান সরকার ও গুড সিটি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিজনেস ডেলিগেশন টু ইন্দোনেশিয়া ফর ডিজিটাল ইকোনমি, স্টার্টআপ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ই-কমার্স’ এ অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান সংশ্লিষ্টরা।

অনলাইন আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, এটুআই এর হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর পরিচালক সৈয়দা আমব্রিন রেজা এবং ইন্দোনেশিয়ার গুড সিটি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান কাওক কা মিং আন্দ্রে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এটুআই এর ন্যাশনাল কন্সালটেন্ট মো. শাহরিয়ার হাসান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দলটি আগামী 19-22 ডিসেম্বর ২০২২ (চার দিন ও তিন রাত) তারিখের সফরে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় ব্যবসায়ী, সরকারে বাণিজ্য উপদেষ্টা পরিষদ, গো-টু গ্রুপ (গো-জেক এবং টোকোপিডিয়া), ব্লক৭১ ভেঞ্চারস, ইমপ্যাক্ট হাব এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও ইনকিউবেটরদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া, ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় কর্পোরেট ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্ব আয়োজিত বিভিন্ন রোড শো’তে যোগ দিবেন।

যেখানে দু’দেশের ব্যসায়ীরা তাদের মধ্যকার নেটওয়ার্কিং এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ পাবেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল ইকোনমি অন্য রকমের বাস্তবতা নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি, বাজারের আকার এবং ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থানের কারণে দু’দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উন্নয়নের অনেকগুলো খাত রয়েছে।

এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তারা ইন্দোনেশিয়ার স্টার্টআপগুলো সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগের খোঁজে প্রযুক্তিবান্ধব ব্যবসা এবং ই-কমার্সকে সহজতর করার লক্ষ্যে আসিয়ান ভূক্ত অন্যান্য দেশগুলোতেও একই ধরনের সম্মেলন করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এটুআই এর হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল বিজনেস, স্টার্টআপ ইনভেস্টমেন্ট, এবং ক্রস-বর্ডার ই-কমার্স ইকোসিস্টেম উন্নয়নের লক্ষ্যে অনেকগুলো উদ্যোগ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবায় আমাদের উদ্ভাবিত জনবান্ধব সেবাগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতির বিকাশের মাধ্যমে, দেশের লাখ লাখ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখছে।

ইন্দোনেশিয়ায় ডিজিটাল ইকোনমি সামিট আয়োজনের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে শুধু বিনিয়োগ বা ব্যবসায়িক সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করবে না, সেই সাথে উদ্যোক্তা তৈরিতে ইন্দোনেশিয়া কীভাবে সফল হয়েছে সে সম্পর্কেও বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তারা জানতে পারবেন।

বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে দেশিয় প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর পরিচালক বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো বাজারের সম্ভাবনা ও উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয় সাধন।

এজন্য উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য সঠিক বিনিয়োগকারীদের খোঁজে বের করতে হবে। কেননা বিনিয়োগকারীরা সবসময় ভবিষ্যতে টেকসই হবে এমন ব্যবসাতে বিনিয়োগ করতে চান।

তাদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করে দিতে এ ধরনের আয়োজন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ডিজিটাল ইকোনমি, স্টার্টআপ ইনভেস্টমেন্ট এবং ই-কমার্সের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনকে ঘিরে নেওয়া পরিকল্পনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন ইন্দোনেশিয়ার গুড সিটি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান কাওক কা মিং আন্দ্রে।

তিনি জানান, আগামী 19-22 ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সফরে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা একশপ ও গুড সিটি ফাউন্ডেশন এর ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন।

এই সম্মেলনে প্রতিনিধি দলটি ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, সরকারি ব্যবসা উপদেষ্টা পরিষদ, স্টার্টআপ এবং জাকার্তা ও বান্দুং সিটির ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট সংগঠনের সাথে সাক্ষৎ করবেন।

ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে এতে যোগ দিতে আগামী ০৫ ডিসেম্বরে মধ্যে নিবন্ধন (https://forms.gle/paHN939ezhdwPWX36) করতে হবে।

নিবন্ধনে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের ব্যয় হবে মাত্র ১,২০০ মার্কিন ডলার। তবে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাত্র ১,০০০ মার্কিন ডলার ব্যয়ে নিবন্ধন করা যাবে।

-শিশির

FacebookTwitter