শিল্প ও সাহিত্যঃ
শিল্পীর শিল্পকর্ম অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়। অনেক ভবিষ্যতকেও বলে দিতে পারে একট শিল্পকর্ম। তেমনই একটি শিল্পকর্ম Destruction of Peace। যা ২০০৬ সালে শিল্পী দেবাশীষ পাল সৃষ্টি করেছিলেন।

Destruction of Peace শিল্পকর্মটি দেশের বরেণ্য সিরামিক শিল্পী দেবাশীষ পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সিরামিক ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান। তিনি তাঁর সেফবুক পেইজে এই শিল্পকর্মের বর্ননা দিতে গিয়ে বলেছেন, আমার শিল্পকর্ম “সিরামিক ভাস্কর্য -Destruction of Peace”2006 সালে তৈরি । এই ফর্মটা যে “করোনা”র মত হবে বুঝিনি। প্রভু সবাইকে ক্ষমা কর। এই শিল্পকর্মটি মূল চিন্তার কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও জানান, গোলাকার পৃথিবীর বুকে শোষক পেরেক মারছে আর শোষিত ছিল অসহায়ের মত সেই ভাবনায় কাজটি করেছিলাম।

Destruction of Peace

দেবাশীষ পাল বাংলাদেশে সিকামিক শিল্পকর্মে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার নায়ক। সিরামিক বা চিনামাটি শিল্পের কাজে তাঁর অসাধারণ হাত। নিখুঁত কাজে তাঁর হাতে এক ধরনের যাদু কাজ করে।

এক সময় বিশ্বে মেলামাইনের প্রচলন শুরু হওয়ায় চিনামাটির তৈরী জিনিসের উপর থেকে অনেকটা দৃষ্টি চলে যেত মেলামাইনের দিকে। সস্তা মেলামাইন বাজার দখল করে নিয়েছিল। চিনামাটি শিল্পে তথাকথিত ডিজািইনাররা নতুনত্ব আনতে পারতো না।

সেই সময়টায় দেবাশীষ পালের মতো প্রতিভাবান শিল্পীরা চিনামাটির নতুনত্বে বিরাট অবদান রাখেন। সিরামিক বা চিনামাটির সৃষ্টিশীল নানান অচেনা ডিজাইনে ভরে ফেলেন সারাবিশ্ব।

Destructive Of peace

মূলতঃ চিনামাটির কদর সব সময়ই চাঙ্গা। কারন চিনামাটির অবস্থান অন্যকোন শিল্প দখল করতে পারবে না। কারন এই শিল্প হাজার বছরের পুরনো।

-শিশির

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily