শিক্ষাঃ
প্রশ্নফাঁস বা তার গুজব ছড়ালে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এমনকি এসব ঘটনার সঙ্গে যদি দেশের শিক্ষকরাও জড়িত থাকে তারাও রেহাই পাবে না বলেও জানান তিনি।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একেবারে নকল ও প্রশ্নফাঁস মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা শেষ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। পূর্বের চাইতে এবার আমরা আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছি। তাই প্রশ্নফাঁস বা তার গুজব ছড়ালে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়বে। তাই এমন ন্যাক্কারজনক কাজের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে শিক্ষক থেকে শুরু করে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
‘সারাদেশে নকলমুক্ত পরীক্ষা আয়োজনে তীক্ষ্ম গোয়েন্দা নজরদারি বসানো হয়েছে। তাই কোনোভাবে প্রশ্নফাঁস করা সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে সকল নির্দেশনা দিয়েছিলাম তার সবকটি অনুসরণ করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নবাক্স খোলা হয়েছে। সারাদেশে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপারে মোড়ানো প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। দেশের সকল স্থানে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রশ্নফাঁসের গুজবকারী কয়েকজনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা ফেসবুকসহ ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের ওপর নজরদারি বসানো হয়েছে। দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করবে। তাই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সকল অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা কামনা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে উত্তরা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও দফতর সংস্থার কর্মকর্তারা। কেন্দ্র পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে পরীক্ষাসংক্রান্ত সার্বিক দিক তুলে ধরেন।
আরও পড়ুনঃ
পরীক্ষা দেওয়া হল না ৫১ পরীক্ষার্থীর, প্রতারক আটক
প্রসঙ্গত, সারাদেশে কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের তালিকা করছে সরকার। এসব শিক্ষক কোচিং বাণিজ্য না ছাড়লে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করারও পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়। প্রশ্নফাঁস রোধ এবং প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এমন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে কোচিংবাজ শিক্ষকদের তালিকা করতে ও খোঁজ খবর নিতে একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
-ডিকে