চলমানঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গাইবান্ধায় দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা ১০৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৮৯ জনকে শনাক্ত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধিদল। বাকি ১৬ জনকে শনাক্ত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
শনাক্ত হওয়া ১০৫ জনের মধ্যে কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় এনেছে আইইডিসিআর। তবে সেই সংখ্যাটা জানা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন এ বি এম আবু হানিফ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন জানান, আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার রাতে অল্প কয়েকজনের রক্ত ও কফ নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু সংখ্যায় তা কত, সেটা বলা যাচ্ছে না। পরে সেগুলো নিয়ে তারা ঢাকায় ফিরে গেছে।
ওই নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গাইবান্ধায় করোনাভাইরাসে আরও আক্রান্ত আছেন কি না, তা জানা যাবে বলে জানান আবু হানিফ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধায় আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২। তারা ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র থেকে গাইবান্ধায় আসেন। ১৫ মার্চ গাইবান্ধা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রবাসী মা ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। পরে আইইডিসিআর জানায়, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সেই থেকে তারা গাইবান্ধা শহরে এক আত্মীয়ের বাসায় আছেন।
ওই দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা ২০ জনসহ হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ২২৬ জন। তাদের মধ্যে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৬২ জন, সুন্দরগঞ্জে ৪৫ জন, সদরে ৩৭ জন, সাদুল্যাপুরে ২১ জন, সাঘাটায় ১৯ জন, পলাশবাড়ীতে ১৭ জন ও ফুলছড়িতে ১৬ জন এবং বগুড়া জেলায় ৯ জন। বগুড়ার ওই ৯ জন গাইবান্ধায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তারা বগুড়ায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
গত সোমবার আইইডিসিআরের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গাইবান্ধায় যায়। এই দলটি প্রথমত সাদুল্যাপুরে বিয়েবাড়িতে যারা আক্রান্ত দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের চিহ্নিত করার কাজ করে।
তারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে নমুনা হিসেবে রক্ত ও কফ সংগ্রহ করেন। পরের দিন মঙ্গলবার পর্যন্ত কাজ করে তারা ৮৯ জনকে শনাক্ত করে। আর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্থানীয়ভাবে ১৬ জনকে শনাক্ত করেছিল।
-িডেক