প্রবাসীদের এখনই দেশে না আসার অহ্বান

প্রবাসীদের এখনই দেশে না আসার অহ্বান
প্রবাসীদের এখনই দেশে না আসার অহ্বান

স্বাস্থ্যঃ
বাংলাদেশীদের যারা প্রবাসে চাকরী করেন খুব জরুরি না হলে তাদেরকে এখনই দেশে না আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এছাড়াও দেশে কোনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

৩ মার্চ, মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

করোনা প্রতিরোধে ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান থেকে আসা যাত্রীদের বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না আমাদের দেশ করোনায় আক্রান্ত হোক। নিশ্চয়ই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও চান না তাদের মাধ্যমে দেশের মানুষ কিংবা পরিবারের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হোন। দেশ ও পরিবারের স্বার্থেই এখন বিদেশে আসা-যাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

মন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো জানান, বাংলাদেশে কোন করোনা রোগী পাওয়া গেলেও আতংকিত হওয়ার কিছু থাকবে না। দেশের সব জেলায় সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আলাদা আইসোলেটেড ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য পর্যাপ্ত কীটস রাখা আছে।

তিনি আরো জানান, একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ১০ সদস্য বিশিষ্ট আলাদা আলাদা ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি আমার (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) সভাপতিত্বে ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মূখ্য সচিব অন্যান্য সিনিয়র সচিবসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এডিবি, ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউএসএইড’র প্রতিনিধিবর্গদের সমন্বয়ে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, বিশ্বের অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরুতে যা যা অবহেলা করেছিল আমরা তা করিনি। সবদিক দিয়েই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সুতরাং দেশে কোন কারনে করোনা ভাইরাস চলে এলেও তা বড় কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

করোনাভাইরাসের কারণে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করা হবে কিনা- এর জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী ১০০ বছরে একবার আমরা পাবো। যেহেতু দেশে এখন পর্যন্ত একজনও করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি, কাজেই করোনা ভাইরাসের কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালনের কোনো অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে না।

এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

-কেএম

FacebookTwitter