অনলাইনঃ
দুই দফায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর এবং গতকাল সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও এনএসআইয়ের প্রধানের জাল স্বাক্ষর করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির বিশেষ স্কোয়াড।
তাদের মধ্যে রয়েছে মো. হেলালউদ্দিন (৫৫), মো. এনামুল হক (৪৮) ও নাজমুল হাবিব (৫৪)। তবে তদন্তের স্বার্থে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা তিনজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এসময় তাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাল স্বাক্ষরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান, এনএসআইয়ের প্রধানের স্বাক্ষর জালের প্যাডের পাতা, প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে হেলালের বিভিন্ন মানহানীকর কথাবার্তার ভিডিও ক্লিপ ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগের সিআইডির কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (সিরিয়াস এন্ড হোমিসাইডাল স্কোয়াড) সৈয়দা জান্নাত আরা।
তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, এই জালিয়াত চক্রটি বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা ৫৪ হাজার কোটির টাকার ভুয়া যাচাই কপি তৈরি করে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতো।
এই ৫৪ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে কথিত ফরিদুজ্জামান সেলিমের একাউন্টে আছে। সে ফ্রান্সের এল. সি. এল ব্যাংক হতে বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকাটি পাঠায়। যা কিনা পুরোটাই ভুয়া। এভাবে সে ৪২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।
‘‘চক্রটি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নের কথা টাগের্ট মানুষকে জানাত, প্রয়োজন মাফিক তারা প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরসহ কার্যালয়ের প্যাডে ওই প্রকল্পের কাজের আদেশনামা দেখাতো এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৪ হাজার কোটির টাকার যাচাই কপি দেখাত।
তিনি বলেন, হেলালউদ্দিন জাল স্বাক্ষর চক্রের মূল হোতা। সো প্রধানমন্ত্রীর জাল স্বাক্ষর তৈরি করত এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লোগো চিঠি এক কম্পিউটারের দোকান থেকে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে প্রিন্ট করত। তারা প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পরিকল্পনা করে জালিয়াতি করছিল।
সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, ফরিদুজ্জামান সেলিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
-ডিকে