অনলাইনঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে চা চক্রে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতৃবৃন্দ। তাঁদের আপ্যায়নে ছিল শীতের পিঠা, চটপটি, ফুচকা, নাড়ু, মুড়ি, কাবাবসহ নানা আয়োজন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণকারী সম্মানে এ চা চক্রের আয়োজন করা হয়।
শনিবার বিকেলে গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বরে আয়োজিত এই চা চক্রে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু) জাপা (মঞ্জু), জাসদ (আম্বিয়া), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, তরিকত ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪ টার একটু পরে চা চক্রের অনুষ্ঠানস্থলে আসেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বিভিন্ন টেবিলে ঘুরে ঘুরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওবায়দুল কাদের, মুহম্মদ ফারুক খান, আব্দুল মতিন খসরু, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, জাপা (মঞ্জু) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ (আম্বিয়া) নেতা মইনুদ্দিন খান বাদল এবং নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা চা চক্রে যোগদান করেন।
এছাড়া বিকল্পধারার সভাপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) এম এ মান্নান, মাহী বি. চৌধুরী, শমসের মোবিন চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোট সভাপতি মিজবাহুর রহমান চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশন সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, সামাবাদী দল সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, বিএনএফ সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, অন্যান্য আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বর আবহমান গ্রাম বাংলার সাধারণ বাড়ি-ঘরের আদলে সাজানো হয়। কুড়ে ঘরের সঙ্গে বসার জন্য মাদুর ও মোড়া পাতা হয়। খাবার পরিবেশনের জন্য মাটির পাত্র ব্যবহার করা হয় এবং এ সময় দেশাত্ববোধক সঙ্গীত বাজানো হয়।
অতিথি আপ্যায়নেও বিশেষত্ব হিসেবে ছিল ভাপা, চিতই, পাটিসাপ্টা এবং পুলিসহ হরেকরকম দেশি পিঠা, চটপটি, ফুচকা, মুড়ি, মোয়া, নাড়ু ও জিলেপি ছাড়াও মোগালাই খাবার হিসেবে ছিল কাবাব এবং নান রুটি।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে চা চক্রে যোগদানকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং আপনাদের উপস্থিতি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী কাদের বলেন, আমরা শুধু কুশলই বিনিময় করিনি, আমরা শীতের পিঠা খেতে খেতে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে রাজনৈতিক বিষয়ে পরস্পরের সঙ্গে আমাদের অভিমত শেয়ার করেছি।
প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রীর এই শুভ উদ্যোগে আপনারা সকলেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন।
কাদের বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত সংলাপের মাধ্যমে খোলামেলা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন শেষে আমরা সহযোগিতা চেয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেও নির্বাচনের সময় জাতির কাছে দেয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করতে চান।
আমাদের সকল নেতৃবৃন্দের পক্ষে আমি এজন্য আপনাদের সবার কাছে সব রকম সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী তার চা চক্রে ৫৪টি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানান। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ ব্যতীত সকল রাজনৈতিক দলই চা চক্রে যোগদান করে।
নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে নভেম্বরের ১ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন।
-ডিকে