প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটন ফ্রিজের প্রবৃদ্ধি ৯৩ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জানুয়ারি থেকে মার্চ; চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রয় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯৩ শতাংশ।

এর আগের বছর একই সময়ে ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ইউনিট। বিপরীতে এ বছর বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইউনিট।

ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রয় বৃদ্ধির এই সাফল্য উৎযাপনে আয়োজন করা হয় ‘এচিভমেন্ট সেলিব্রেশন প্রোগ্রাম’। বুধবার (১৭ এপ্রিল, ২০১৯) রাজধানীর বসুন্ধরা করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত ওই আয়োজনে বেস্ট অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় শীর্ষ ১২ এরিয়া ম্যানেজারকে। এদের মধ্যে একজন পান ‘ওয়ারিয়র অব দ্যা মান্থ’ অ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর ব্যাপক প্রচারণা চালানোয় ১৭টি প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুমকে দেয়া হয় ‘বেস্ট ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড’।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, এ বছর জানুয়ারি মাসে দেশের বাজারে তাদের ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৩১৭ ইউনিট। ফেব্রুয়ারি মাসে বিক্রি বেড়ে হয় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৭ ইউনিট। আর মার্চ মাসে ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৩৯ ইউনিট। গত বছর একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৫ হাজার ২২৪, ৭১ হাজার ৭৫ এবং ৮৮ হাজার ৯৫২ ইউনিট।

ফ্রিজের বিক্রয় বৃদ্ধির সাফল্যে অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননা দেয় হয় ওয়ালটনে তিন বিক্রয় চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম এবং পরিচালক রাইসা সিগমা হিমা।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সেলস বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা, ডিস্ট্রিবিউটর মার্কেটিং চ্যানেলের প্রধান এমদাদুল হক সরকার, প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রায়হান, নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, এসএম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবির, শোয়েব হোসেন নোবেল, উদয় হাকিম এবং গোলাম মুর্শেদ, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, শাহজাদা সেলিম প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চিত্রনায়ক আমিন খান।

এর আগে ‘মিট দ্য প্লাজা ম্যানেজারস’ শীর্ষক ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজারদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিপণণের আধুনিক কলাকৌশল নিয়ে বিক্রয়কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়।

এদিকে, দেশব্যাপী চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ ল্যাপটপ, ফ্রিজ, এলইডি টিভি, এসি ইত্যাদি পণ্য ফ্রি। পাশাপাশি, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ফ্রিজের ক্রেতাদের ওয়ালটন দিচ্ছে ৫০০টি গোল্ড এডিশনের বিশেষ ডিজাইনের ফ্রিজ ফ্রি।

সূত্রমতে, চলতি বছর সাশ্রয়ী মূল্যে বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের নতুন মডেলের ইনভার্টার ও গ্লাস ডোরের ফ্রস্ট, নো-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ ছেড়েছে ওয়ালটন। এছাড়া ফ্রিজ কম্প্রেসরের গ্যারান্টি সুবিধা আরো দুই বছর বাড়িয়ে ১২ বছরের ঘোষণা দিয়েছে ওয়ালটন। এছাড়াও ওয়ালটন ফ্রিজে রয়েছে ১ বছরের রিপ্লেসমন্টে গ্যারান্টি সুবিধাসহ দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা।

কর্তৃপক্ষের মতে, এসব সুবিধা থাকাতেই স্থানীয় বাজারে হটকেট ওয়ালটন ফ্রিজ। তাছাড়া, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটন প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ব্যবহৃত হচ্ছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজি, গ্লাস ডোর, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট ইত্যাদি প্রযুক্তি। এর সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় দেশের বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, ২০১৯ সালে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘১৯ এ ২০’। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কারখানার উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন বিভাগ পর্যন্ত সর্বত্র যুগপোযোগি ও আধুনিক কর্ম-পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ওয়ালটন ফ্রিজের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় বাজারে ১৩৯ মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০১ মডেলের ফ্রস্ট ও ২০ মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ১৬ মডেলের ফ্রিজার এবং ২ মডেলের বেভারেজ কুলার।

ওয়ালটন ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের ৩৪ মডেলের গ্লাস ডোর, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ৪ মডেলসহ বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত ৩ মডেলের ফ্রিজ। গ্লাস ডোরে ২১টি সহ মোট ৩৮টি নতুন মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর সমৃদ্ধ গ্লাস ডোরের ৩৮০ লিটারের ৩টি নতুন মডেল। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চালানো যাবে।

ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে ৬টি নতুন মডেল নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এর মধ্যে ইনভার্টার ও গ্লাস ডোরের ৫৬৩ লিটারের সাইড বাই সাইড ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

দেশের গন্ডী পেরিয়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এবার ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানির বৃহৎ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ড হতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ওয়ালটন।

FacebookTwitter