এখন প্রচার করলেই আচরণবিধি লংঘন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে আজ শুক্রবার সকাল ৮টায়। টানা ১৯ দিন বিরামহীনভাবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে চষে বেরিয়েছেন প্রার্থীরা।
এখন শুধু ভোটের অপেক্ষা। শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্নে ব্যস্ত সময় পার করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। কোনো বিরতি ছাড়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ওইদিন জনরায়ের ফলে গঠিত হবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন সরকার। যদিও শুরু থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। মহা ধুম-ধামে ঢাক, ঢোল পিটিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন মহাজোটের প্রার্থীরা।
নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে কমিশনার শাহাদাত হোসেন বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রচারণা শেষ হবে। সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। এই মুহূর্ত পর্যন্ত যতটা প্রস্তুতি দরকার, সেটা আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। নির্বাচনী সামগ্রীসহ ব্যালট পেপার অনেক আসনে পৌঁছে গেছে। বাকি এলাকাগুলোতে ব্যালট পেপার যেতে শুরু করেছে।
প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের এক নির্দেশনার আলোকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ‘১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুসারে ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টা ও ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে অর্থাৎ, ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত সব নির্বাচনী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল, শোভাযাত্রা করা যাবে না।’
অর্থাৎ, সংসদ নির্বাচনের সব প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টার আগেই। আর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না।