প্রশাসনঃ
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিল্প খাতে কর্মরত কর্মীদের বাড়ি ফেরা ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন যাতে সতর্ক অবস্থানে থাকে- এ ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এই প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি সব জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়ক, পুলিশ (সকল), জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার জেলা পর্যায়ের প্রধান, জেলা পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, এমপি, মেয়র, কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জেলা কমিটির অন্যান্য সদস্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিবের কাছে পাঠানো হয়।
তবে এই প্রজ্ঞাপনে পুলিশের তত্ত্বাবধায়ক বলে যে পদের কথা বলা হয়েছে বাস্তবে এমন কোনো পদ পুলিশে নেই।
এ ব্যাপারে পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, যাকে উদ্দেশ্য করে এই ধরনের প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে বাস্তবে যদি সেই পদ নাই থাকে তাহলে কে ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে ব্যবস্থা নেবেন।
গত ১২ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের সব জেলায় এখন কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তি আছেন। সবার লক্ষ্য থাকা উচিত স্থানীয় পর্যায়ে কোনো ক্রমেই যেন সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা না বাড়ে। সম্প্রতি গার্মেন্টস শিল্প, দোকানপাট, অফিস ও অন্যান্য ব্যবসা বাণিজ্য খুলছে। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সেসব জায়গায় কর্মরত অবস্থায় সংক্রমিত হতে পারেন। তারা যদি ছুটি নিয়ে বা ছুটিকালীন অবস্থায় তাদের স্থায়ী নিবাসে সাময়িক সময়ের জন্য ফিরে আসেন তবে তাদের মধ্যে কেউ সংক্রমিত থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। কাজেই সতকর্তা হিসেবে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।
-ডিকে