অনলাইনঃ
নুসরাত জাহান রাফীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই মাদ্রাসার ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদত হোসেন শামীম।

সে ছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত ছিলো আরো দুইজন ছাত্র ও দুই ছাত্রী। এদের মধ্যেই একজন নুসরাতকে ছাদে ডেকে আনে।

আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের সদর দফতরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার দিন নুসরাত পরীক্ষা দিতে হলে প্রবেশ করলে একজন গিয়ে ‘নিশাত’ নামে এক বান্ধবীকে মারার মিথ্যা তথ্য দিয়ে নুসরাতকে ছাদে নিয়ে আসা হয়। ছাদে আগে থেকেই অবস্থান করছিলো বোরখা পরা ওই চারজন। তারা ছাদের ওয়াশরুমে সকাল থেকেই লুকিয়ে ছিলো।

তিনি বলেন, ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেওয়ার আগের দিন ৫ এপ্রিল কারাগারে থাকা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে দেখা করেন তার ঘনিষ্ঠজন নুর উদ্দিনসহ পাঁচজন।  সিরাজের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পরদিন নুর উদ্দিনের নেতৃত্বে পরীক্ষাকেন্দ্রে নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়া হয়।

বনজ কুমার বলেন, নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অংশ নেয় মোট ১৩ জন। এর মধ্যে দুই তরুণীও রয়েছে। চারজন বোরখা পরা ব্যক্তি মাদ্রসার ছাদে নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily