অনলাইনঃ
মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন পপি।
আজ বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে জবানবন্দি গ্রহণ।
এছাড়া এজহারভুক্ত আসামি জাবেদ হোসেনের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করলে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল এসপি মোঃ ইকবাল গণমমাধ্যমকে জানান, উম্মে সুলতানা পপি আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। ঘটনার দিন পপি নুসরাতকে ছাদে ডেকে নেয় এবং কিলিং মিশনে অংশ নেয়৷
এর আগে এ মামলায় চারজন আসামি নুসরাত হত্যার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তারা হলেন- মামলার এজহারভূক্ত আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরীফ ও হাফেজ আবদুল কাদের।
আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধে ওই অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠি আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন। এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গেল ১০ এপ্রিল বুধবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকালে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।