শিক্ষাঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর ভিপি নুরুল হক নুর।
নুর বলেছেন: নিবন্ধিত কোনো দলের ছাত্রসংগঠন নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার ঢাবি কর্তৃপক্ষ বা ডাকসুর নেই। এছাড়া ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ডাকসুতে সর্বসম্মতভাবে নেয়া হয়নি।
শুক্রবার রাতে নিজের সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর৷
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু ভিপি বলেন: গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) মিটিংয়ে ডাকসুর এজিএস ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন ও সদস্য রাকিবুল ইসলাম ঢাবিতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব তুলেছিলেন।
তিনি বলেন: সাধারণ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেটা নয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে ধর্মীয় উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধ৷
নুর বলেন: বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক প্রচলিত আইন ও নিয়ম-কানুন মেনে যেসব রাজনৈতিক দল তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, কিংবা যেসব ধর্মভিত্তিক দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নিয়ে রাজনীতি করছে, ঢাবিতে তাদের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণে ডাকসু বা ঢাবি কর্তৃপক্ষের কোনো এখতিয়ার নেই। সুতরাং এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আমরা ডাকসু থেকে নিতে পারি না।
ভিপি আরও বলেন: তাই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নয় বরং উগ্রপন্থী, সন্ত্রাসী ও মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠন যাতে ঢাবিতে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালাতে না পারে, সেজন্য ডাকসু থেকে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
ভিপি নুর বলেন: মিটিংয়ের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের ৩৪ জন নেতার অবৈধভাবে ভর্তি ও জিএসের পদে থাকা নিয়ে আলোচনা তুললে অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া ডাকসু নেতাদের ব্যক্তি আক্রমণাত্মক কথাবার্তায় আমি সভা বর্জন করে বের হয়ে আসি। আমার অনুপস্থিতিতে তারা নিজেদের মতো করে সংযোজন বিয়োজন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং তা ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনের স্বাক্ষরসহ প্রকাশ করে। যা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নয়।
অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ডাকসুর ওই নির্বাহী সভা শেষে এ বিষয়ে এজিএস সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন: ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি আজকের নির্বাহী সভার এজেন্ডাভূক্ত ছিল। সভায় এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সর্বসম্মতিক্রমে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ডাকসুর প্রস্তাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এটি আইন করে নিষিদ্ধের জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।
-কেএম