ধষর্ণের পর ইনজেকশন দিতো

অনলাইনঃ

কুমিল্লার লাকসামে নিজ অফিস সহকারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে মীর হোসেন নামের একজন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) ভুক্তোভোগী ওই নারী কুমিল্লা র‌্যাব-১১ তে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১।

বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসকের চেম্বার থেকে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, কনডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্যসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত মীর হোসেনের বাড়ী লাকসাম পৌরসভার বাইনচাটিয়া গ্রামে।

র‌্যাব-১১ কাছে করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৪ মাস আগে ডিজিটাল হেলথ কেয়ারে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে যোগ দেন তিনি। এরপর থেকেই তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন অভিযুক্ত মীর হোসেন।

ভুক্তোভোগী ওই নারী জানান, চাকরি রক্ষা ও পেটের দায়ে সবকিছু সহ্য করে আসছিলেন তিনি। একপর্যায়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হন। তাই বাধ্য হয়ে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও চাকরি দেয়ার নামে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে ওই ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। 

তিনি আরো বলেন, ‘গত ৪ মাসে এমন করে ৩০ বার তিনি আমাকে ধর্ষণ করে। প্রতিবার ধর্ষণ করার পর আমার শরীরে ব্যথানাশক অজ্ঞাত একটি ইনজেকশন পুষ করতেন তিনি। ধর্ষণের পর মীর হোসেন আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, এ কথা যদি কেউ জানতে পারে তাহলে আমাকে চাকুরিচ্যুত করে মিথ্যা মামলা দিবে। আমি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হওয়ায় তার এ নির্যাতন সহ্য করে আসছিলাম। কিন্তু দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতন বেড়ে চলায় নিরুপায় হয়ে র‌্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ করি।’

এলাকার স্থানীয়রা জানান, মীর হোসেন একই ভাবে তার চেম্বারে বহু তরুণীকে চাকুরী দেয়ার নাম করে সর্বনাশ করেছে। তার হুমকির কারণে কেউ মুখ খুলাতে সাহস করেনি। এছাড়া ওই ভুয়া চিকিৎসকের চেম্বার বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত । তবে কিছু দিন পর তিনি কৌশলে আবারও চেম্বার খুলে তার পুরনো অপকর্ম শুরু করতো।

এ বিষয়ে কোম্পানি কমান্ডার (র‌্যাব-১১) প্রণব কুমার জানান, ওই মেয়ের লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা লাকসাম ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক ডাঃ মীর হোসেনের চেম্বারে অভিযান চালাই। এসময় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, বিপুল পরিমাণ কনডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়। তিনি কোনো ডাক্তার নন। এছাড়া চাকুরী দেয়ার নামে এই চেম্বারে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করেছেন। তাকে ও তার চেম্বারে কর্মরত অপর এক মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ওই এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী কাছ থেকে জানা গেছে, ভুয়া ডাক্তার মীর হোসেন আরো অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। তিনি কিছু দালালের মাধ্যমে চাকুরী প্রত্যাশী মেয়েদের নিয়ে এসে অপকর্ম করে ছেড়ে দেয়। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলে না। এসময় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।

-ডিকে

FacebookTwitter