মিলি সুলতানা, নিউইয়র্ক থেকেঃ
১৯৯৩ সালে মিঠুন চক্রবর্তী “দালাল” নামে একটা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি বক্স অফিসে সুপার ফ্লপ হয়েছিল।

আজ এতবছর পর বিজেপির মঞ্চে তাকে দেখে সত্যিকারের সেই দালাল মিঠুনকে মনে পড়লো। বিজেপিতে ফ্লপ মেরে যাবেন না তো?

প্রথমে ছিলেন নকশাল। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস, তারপর বিজেপির টিকি ছুঁয়েছেন। থাকেন তিনি মুম্বাইয়ের জুহুতে। কলকাতার জন্য কখনো কিছু করেননি। এবার মোদির চ্যালা হয়ে স্বর্গ এনে দেবেন হাতের মুঠোয়। আসলে পল্টিবাজ মিঠুন চক্রবর্তীর হিসাব কিতাব অন্য রকম। করোনার কারণে টিভির রিয়েলিটি শো বন্ধ। বেচারা রিয়েলিটি শো’র বিচারক হয়ে দু’চার পয়সা কামাতেন। সিনেমায়ও কেউ ডাকতোনা। বরং তাকে না ডেকে অনুপম খেরদের ডাকেন। আয় উপার্জন বলতে গেলে নাই। হাতের তালুতে খসখসানি শুরু হয়েছে। মমতা মাসির সাথেও ভালো বনাবনি ছিলো না। তাই পল্টি মারা ছাড়া অন্য কোনো অপশন নেই। মিঠুন নকশাল দিয়ে জীবন শুরু বিজেপি দিয়ে জীবন শেষ করবেন।

কলকাতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে পল্টিবাজ মিঠুন সাদা পাঞ্জাবি, গলায় উত্তরীয়, মাথায় টুপি পরে তার সিগনেচার ডায়লগ দিয়েছেন–“‘মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে !!” আরও বাহারি একটা ডায়লগ দিয়েছেন, “আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই, আমি একটা গোখরো। এক ছোবলেই ছবি…………!” ১৯৬০ এর দশকে নকশাল আন্দোলনের অংশ ছিলেন। এরপর ২০১৪ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। মমতা মাসির দল তাকে রাজ্যসভার সদস্যও করে। যদিও তৃণমূলের শাসনকালে রাজ্যের চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর রাজনীতি থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন স্বঘোষিত এই গোখরো সাপ। এবার নিশ্চয়ই জমবে মজা। মিঠুন তার গায়ে উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সব পালের হাওয়া লাগিয়েছেন। এবার নরেন্দ্র মোদির আস্তিনের ভেতর থেকে গোখরো সাপের রূপ ধরে বের হয়ে মমতা মাসিকে বিষাক্ত ছোবল দেবেন। আশংকা হচ্ছে, অবিচার সিনেমার সেই গানের মত কলকাতার বাঙালিরা মিঠুনকে বলে বসেন কিনা, “দেখলে কেমন তুমি খেল ও যাদুরে…………..!!”

-শিশির

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily