অনলাইন ডেস্কঃ
সংস্কারপন্থী নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে দলে ফিরাচ্ছে বিএনপি। ২০০৭ সালের ১/১১র সময়ে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দল থেকে ছিটকে পড়া নেতাদের আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে সক্রিয় হবেন এক সময়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এসব নেতা। দলীয় চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার ইচ্ছা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সবুজ সংকেত পেয়েই তাদেরকে ফিরিয়ে এনে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে দলে ফেরা সংস্কারবাদি এক নেতা এ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বে দিচ্ছেন । তার পরামর্শেই বিএনপির হাইকমান্ড এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংস্কার প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে সৃষ্ট বিভক্তির রেখা মুছে ফেলার উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এরা দলে ফিরছেন বলে দলটির একাধিক নেতা দাবি করেছেন। দলের স্বাথের্ই এদের বিএনপিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এদের কাউকে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে এমন ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দল থেকে ছিটকে পড়েও এখনও স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়। দলের বাইরে থেকেও এসব নেতারা গত ১০ বছরে বিএনপি বিরোধী কোন কর্মকান্ডে জড়িত হননি। অন্য কোন দলে যোগ দেননি। অনেকে টিভি টকশোতে বিএনপির পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। সর্বোপরি ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য সরকারের নানা প্রলোভনেও তারা পড়েননি। এমনকি সরকারি এ সংক্রান্ত ষড়যন্ত্র দলের হাইকমান্ডের কাছে ফাঁস করে দিয়ে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবিসহ দলীয় ৭ দফা দাবিতে শিগগিরই বড় ধরনের আন্দোলন শুরু করা হবে। তার আগেই দলকে ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতেই এমন সিদ্ধান্ত বিএনপির।
যারা দলে ফিরছেন তারা হলেন, চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা সাবেক সচিব এ এইচ এম মোফাজ্জল করিম, সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামাল, মেজর জেনারেল (অব.) জেড এ খান, সাবেক এমপি এস এ সুলতান টিটু, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুজ্জামান, নূরুল ইসলাম মনি, ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, জি এম সিরাজ, ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো। এর বাইরে থাকা অরো অনেককেই এ প্রক্রিয়ায় সামিল হতে দেখা যেতে পারে। এ ব্যাপারে ডা. জিয়াউল হক মোল্লা বলেন, সন্ধ্যায় গুলশান অফিসে যেতে বলা হয়েছে কিন্তু কি কারণে যেতে বলেছেন তা জানাননি।
-আরবি