অনলাইনঃ
ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে ঝলসে দেয়া মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি মারা গেছেন। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বুধবার রাত ৯টার পর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
পাঁচ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন নুসরাত। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও শারীরিক অবস্থার কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না।
এর আগে আজই রাফির ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। চিঠিতে দিন-তারিখ লেখা না থাকলেও বিষয়বস্তু বিবেচনায় এটি কয়েকদিন আগের লেখা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
দুই পাতার ওই চিঠিটি তামান্না ও সাথী নামের দুই বান্ধবীকে উদ্দেশ করে লেখা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছেন রাফি।
চিঠিতে রাফি লিখেছেন, ‘আমি লড়বো শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। আমি প্রথমে যে ভুলটা করেছি আত্মহত্যা করতে গিয়ে। সেই ভুলটা দ্বিতীয়বার করবো না। মরে যাওয়া মানে তো হেরে যাওয়া। আমি মরবো না, আমি বাঁচবো। আমি তাকে শাস্তি দেবো যে আমায় কষ্ট দিয়েছে। আমি তাকে এমন শাস্তি দেবো যে তাকে দেখে অন্যরা শিক্ষা নেবে। আমি তাকে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেবো ইনশাআল্লাহ।’
গত ৬ এপ্রিল আগুন হামলার শিকার হন রাফি। হাসপাতালে নেয়ার সময় এ্যাম্বুলেন্সে রাফি তার ভাই নোমানকে জানান, তার বান্ধবী নিশাতকে মারধর করা হচ্ছে বলে পরীক্ষার হল থেকে তাকে ডেকে সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নেয়া হয়। এ ভবনেেই দ্বিতীয় তলায় আলিম শ্রেণিকক্ষ ও অধ্যক্ষের কার্যালয়। এখানে আগে থেকে বোরকা পরা চারজন ব্যক্তি ওঁৎ পেতে ছিল। তারা তাকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। রাফি অস্বীকার করেন। এ সময় তিনজন হাত ধরে আরেকজন কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাফি চিৎকার দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকে দৌড় দেন।