স্পোর্টসঃ
শেষ হয়ে গেলো ভারতের মাটিতে তাদেরই বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
২-১ ব্যবধানে বাংলাদেশের সিরিজ পরাজয়ে আরো একবার স্বপ্নভগ্নের বেদনায় পুড়লেন টাইগার ক্রিকেটামোদীরা।
গতকাল ১০ নভেম্বর, রবিবার নাগপুরে সিরিজের শেষ ম্যাচে হেরে সবার মনেই সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপ। কেননা শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজের করে নিতেই পারতো বাংলাদেশ।
কিন্তু অভিজ্ঞদের দায়িত্বহীনতায় সে সুযোগটি হেলায় হারিয়েছে বাংলাদেশ। তরুণ ওপেনার নাঈম শেখের চোখ ধাঁধানোর ব্যাটিংয়ের পর আর কেউই দাঁড়াতেই পারলেন না। যে কারণে টাইগারদের মাঠ ছাড়তে হলো ৩০ রানের পরাজয় নিয়ে।
তবে তারপরও সিরিজে কিছু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি রয়েছে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চোখেও ধরা পড়েছে সেগুলো। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিরিজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
তার মতে, তরুণ নাঈম শেখ ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের পারফরম্যান্স প্রাপ্তির জায়গা। আর সিরিজ জিততে না পারাটা অপ্রাপ্তির।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘সিরিজে তৃপ্তির জায়গা বলতে আমার মনে হয় আমিনুল ও নাঈমের পারফরম্যান্স। আমাদের বোলিং ইউনিটের পারফরম্যান্স খুব ভালো ছিলো। মুশফিকের ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স ছিলো। এগুলো ছিলো ইতিবাচক।’
তিনি আরো বলেন, ‘আর অতৃপ্তির জায়গা বলতে গেলে.. আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছি, অবশ্যই খুব ভালো একটা মোমেন্টাম পেয়েছিলাম। যেটা আমরা সবসময় ফিল করি- এটাই বাংলাদেশ দলের শক্তি। তারপর ওখান থেকে যখন সিরিজ হারি, সেদিক থেকে কিছুটা হলেও হতাশাজনক।’
গতকালের ম্যাচে ৪১ বলে ৮১ রান করেন তরুণ নাঈম শেখ। তার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে অধিনায়ক বলেন, ‘এক কথায় বললে, খুবই দৃষ্টিন্দন ছিলো ওর (নাঈম) ইনিংসটা। আমার খুব খারাপ লাগছে ও এত সুন্দর একটা ইনিংস খেললো, আমরা ফিনিশ করতে পারিনি। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা ছিলো। এ কারণে আমার হতাশা আরো বেশি। সুন্দর একটা ইনিংস খেলেছে, খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ওর জন্য হলেও যদি আমরা ভালো করে শেষ করতে পাটতাম, তাহলে ও অনেক ক্রেডিট পেতো।’
মাহমুদউল্লাহর মতে, দেশের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার আলআমিন। তিনি বলেন, ‘আল আমিন অসাধারণ খেলেছে। আমার মনে হয়, ও আমাদের দেশের অন্যতম সেরা টি-২০ বোলার। ব্যক্তিগতভাবে আমি এটা অনুভব করি। ওর আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টি-২০ ক্যারিয়ার দেখলে দেখা যাবে, সব সময় ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছে। সেদিক থেকে বিশ্বাস ছিলো আল আমিন হয়তোবা ভালো করতে পারে।’
-কেএম