অনলাইন ডেস্কঃ
স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে- এমন সব ধারা- উপধারা বহাল রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সংসদে পাস করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
সাংবাদিক সমাজের মতামত, পরামর্শ ও সুপারিশ উপেক্ষা করে এই আইন পাস করায় নিন্দা জানান ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন খান এক বিবৃতিতে বলেন, বহুল আলোচিত এই বিলের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর থেকেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন সুনির্দিষ্ট কিছু ধারায় আপত্তি জানিয়ে আসছিল।
সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে আপত্তিকর ধারাগুলো বাদ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর সংসদীয় কমিটিতেও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মতপ্রকাশের অন্তরায় ও স্বাধীন সাংবাদিকতার বাধা হতে পারে- এমন কোনো ধারা আইনে থাকবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেয়া হলেও, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম সাংবাদিকদের সকল মতামত ও সুপারিশ উপেক্ষা করেই ১৯শে সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হলো। এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে আইসিটি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করে সেগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় ছড়িয়ে দেয়া এবং বৃটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন অন্তর্ভুক্ত করা, বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও ডিজিটাল ডিভাইস জব্দ করার বিধান রাখায় সাংবাদিকদের নিগৃহীত হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।
এসব বিধান মৌলিক মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আইনটি তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সমাজের দেয়া সুপারিশ আমলে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন, আপত্তিকর ও নিবর্তনমূলক ধারাসমূহ বাতিল করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
-আরবি