ডাচ রাণী ও বান কি মুন ঢাকায়

কূটনৈতিক সংবাদঃ

সস্ত্রীক ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন এবং ডাচ রাণী ম্যাক্সিমা। এ সময় বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মুন ও ম্যাক্সিমা রাজধানীতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলাদা দুটি ফ্লাইটে তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

কূটনৈতিক ও সরকারী সূত্র মতে, গত রাতে ঢাকায় এসে পৌছেছেন মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট ড. হিলদা হেইনি। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন এডাপটেশন (জিসিএ)’ সম্মেলনে যোগ দিতে ২ দিনের সফরে এসেছেন তিনি। তাকেও বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১ দিনের এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে জিসিএ’র বর্তমান সভাপতি বান কি মুন ‘ওয়ে ফরওয়ার্ড এন্ড নেক্সট স্টেপ টুওয়ার্ডস ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেশন’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ওই হোটেলেই মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট এবং জাতিসংঘের সাবেক প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে জলবায়ু সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, গ্লোবাল কমিশন ফর এডাপটেশন সেন্টারের সিইও ড. পেট্রিক ভি ভারকোইজেন, ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট’র নির্বাহী সহ-সভাপতি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিশ বাপনা এবং সিজিএ কমিশনার এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মুসা প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

এরপর বিকালে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের মধ্যে বঙ্গভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রেসিডেন্ট ড. হিলদা হেইনি এবং বান কি মুন হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার যাবেন। সেখানে তারা উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং খুরুসকূল বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট  ড. হিলদা’র।

এদিকে অর্থনীতি বিষয়ক অন্য এক অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন রাণী ম্যাক্সিমা। এছাড়াও তিনি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন বলেও জানা গেছে।

-কেএম

FacebookTwitter