টোল সিস্টেমকে স্বয়ংক্রিয় করতে হবে- অর্থমন্ত্রী

অর্থনীতিঃ

চলমান প্রকল্পগুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। অর্থাৎ কাজের সংখ্যা না বাড়িয়ে গুনগত মান বাড়াতে হবে। আমরা চাই আপনারা দক্ষ জনবলের কাছে কাজ দেন। তাহলে মানসম্মত কাজ পাওয়া যাবে। যেই পরিমাণ কাজের আয়ুস্কাল নির্ধারণ করা হবে সেটা দিতে হবে। একই কোম্পানীকে একাধিক কাজ না দিয়ে অন্যান্য কোম্পানীকে কাজ দিয়ে কাজ করলে কাজের মান ভাল হবে। একাধিক কাজ দেয়ার ফলে ওই কোম্পানী গুলো বিভিন্ন সময় অনেক কাজ আটকে দেয়। এ জন্য এক কোম্পানীকে বার বার কাজ দেয়া যাবে না। কোন কোম্পানী কাজ নিয়ে গাফিলতি করলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আপনারা সড়ক উন্নয়নে প্রতিবছর যে বরাদ্দ পান, সেটা বছর শেষে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মহাসড়কের লাইফ টাইম: চ্যালেঞ্জ ও করনীয় এর উপর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, টোল সিস্টেমকে সম্পর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় করতে হবে। টোল আদায়ের নামে গাড়ি আটকে সময় নষ্ট ও জ্যাম তৈরি করা যাবেনা। টোল সিস্টেমকে সম্পর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় করার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপেই করতে হবে নামকা হস্তে বা অর্ধেক করলাম, অর্ধেক করলামনা তা হবেনা- পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি গাড়ির জন্য প্রিপেইড মিটারের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দিষ্ট সীমা পার হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পরিশোধ হবে। টোল প্লাজায় কোন যানজট হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিটি মহাসড়কে টোল আদায়ের ব্যবস্থার নির্দেশনা রয়েছে। সড়ক সংস্কারে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে টাকা না নিয়ে টোলের টাকা দিয়েই সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। টেকসই সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনে বিদেশি দক্ষ ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সড়কের অবস্থা ভালকরা অত্যন্ত জরুরী, তাই এ বিষয়ে আমাদের অত্যন্ত আন্তরিক হতে হবে, ব্যক্তিস্বার্থ সম্পূর্ণরূপে ভুলে গিয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য একাব্বর হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনসহ প্রমুখ।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বেস্ট রোড তৈরি করেছে সিঙ্গাপুর, সেগুলোতো আমরা দেখেছি, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। তেলের পরিবর্তে যদি পরিবহন সেক্টরে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়নো যায়, তাহলে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার সেভ হবে। বিশ্বের সব দেশে পরিবহণ সেক্টরগুলো বিদ্যুতে চলে যাচ্ছে। শুধু আমরাই পারছিনা। প্রোপার ইক্যুইপমেন্ট ছাড়া কেন কন্ট্রাকটারকে কাজ দেবো। জাতীয় পর্যায়ে পরিসংখ্যান দরকার। দক্ষতার ঘাটতি থাকলে তা পুরণ করতে হবে।

-শিশির

FacebookTwitter