অনলাইনঃ
ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি শতভাগ সুপেয় দাবি করলেও নিজের বাসায়ই পানি ফুটিয়ে খান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরআইউ) ওয়াসার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এমনটা জানান তিনি।
ওয়াসার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি।
টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ঢাকা ওয়াসার ৯১ ভাগ গ্রাহক পানি ফুটিয়ে বা সিদ্ধ করে পান করেন। এতে করে প্রতি বছর ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাসের অপচয় হয়।’
এই তথ্য সঠিক নয় দাবি করে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘ওয়াসার পানি একশ ভাগ সুপেয়। এত মানুষ ফুটিয়ে পানি পান করলে সারা শহরে এত বোতলজাত পানি বিক্রি হয়, জারের পানি বিক্রি হয়, সেগুলো যায় কই? অনেকে তো ফুটানো ছাড়াও পানি পান করেন। তাদের এই তথ্য একদম সঠিক নয়। এটা একটা স্ট্যান্টবাজি।’
পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সাংবাদিক ওয়াসা এমডি তাকসিম এ খানের কাছে জানতে চান তিনি বাসায় কীভাবে পানি পান করেন।
জবাবে তিনি স্বীকার করেন তিনি নিজেও বাসায় পানি ফুটিয়ে পান করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার বাসায় পানি ফুটানো হয়। এছাড়া ‘শান্তি’ (ওয়াসার বোতলজাত বিশুদ্ধ পানি) বোতলের পানি খাই। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, আমি মাঝে মাঝে টেপের পানিটাও খাই।’
এসময় আরেকজন সাংবাদিক তাকসিম এ খানকে বলেন, ‘আমার অনুরোধ, আপনি আমার বাসায় গিয়ে দু গ্লাস পানি খাবেন।’
এসময় এমডি তাকসিম জানতে চান ওই সাংবাদিকের বাসা কোথায়।
সাংবাদিক জানান তিনি মালিবাগ থাকেন। পরে তাকসিম বলেন, ‘আমি আপনার বাসার টেপেরটা খাব না। আপনার বাসায় যেখান থেকে পানিটা ঢুকেছে আমি সেখান থেকে খাব। এবং আমি চ্যালেঞ্জ করছি।’
এসময় তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে পুরোনো পাইপলাইন ও বাসার টাংকি ময়লা হওয়ার কারণে পানি দূষিত হয়। ঢাকা ওয়াসা থেকে বাড়ির হাউসে পানি যাওয়ার আগ পর্যন্ত পানি শতভাগ সুপেয় থাকে।
এ ছাড়া ওয়াসার পক্ষ থেকে বাসার ট্যাংকির পানি, পাইপ লাইনের পানি ও ঢাকা ওয়াসা কেন্দ্রের পানি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে।’ টেস্টের ফলাফল অনুযায়ী পানির মান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অতিক্রম করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে ওয়াসা সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদনটি একপেশে, ঢালাও ও স্ট্যান্টবাজি বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।