স্পোর্টসঃ
আজকের ফাইনালকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল, ছিল বহুদিনের আক্ষেপ ঘোচানোর অপেক্ষা।
কারণ এর আগে ৬ বার ফাইনালে উঠেও ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি টাইগারদের। তাই অধরা সে ট্রফিকে ছুঁয়ে দেখতে আরো একটি সুযোগের সামনে বাংলাদেশ।
ডাবলিনের ম্যালাহাইডে শুক্রবার শুরু থেকেই ভাগ্য নিজেদের হয়ে কথা বলছিল মাশরাফি বাহিনীর। গোটা সিরিজে যে টস বিরুদ্ধে কথা বলেছে, আজ সে টস ই গেলো বাংলাদেশের ঘরে। যথারীতি মাশরাফি জানিয়ে দিলেন আগে বোলিং করবে তার দল।
কিন্তু টসের মতো শুরু মোটেও ভালো ছিলো না বাংলাদেশের জন্য। আর তা হতে দেননি দুই ক্যারিবীয় ওপেনার শেই হোপ আর সুনীল এমব্রিস। স্বভাবসূলভ ব্যাটিং করে রানের চাকা বাড়াতে থাকেন এ দুজন। এদের কাছে পাত্তাই পাচ্ছিলো না বাংলাদেশের কোন বোলার। অল্প রানের ব্যবধানেই দুজই তুলে নেন ফিফটি।
কিন্তু ২০.১ ওভারে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের রান যখন ১৩১, ঠিক তখনি শুরু হয় আকাশের কান্না। সাথে সাথেই পিচ ঢেকে ফেলা হয় কাভার দিয়ে। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। দীর্ঘক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে পুণরায় খেলা শুরু হয়। কিন্তু সময় চলে যাওয়ায় আর পুরো ওভার খেলা হওয়া সম্ভব হয়নি। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে তাই ২৪ ওভারে আনা হয়। আর নির্ধারিত ২৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১৫২ রান। কিন্তু ডিএল মেথডে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১০ রানের। ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন শেই হোপ। এছাড়াও এমব্রিস করেন ৬৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন মেহেদী মিরাজ।
জিততে হলে করতে হবে ২১০ রান। কিন্তু হাতে মাত্র ২৪ ওভার। নিঃসন্দেহে কঠিন কিছু। কিন্তু সে কঠিন সমীকরণকে শুরু থেকেই সহজ বানিয়ে ফেলেন দুই টাইগার ওপেনার সৌম্য ও তামিম। চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন বিপক্ষ বোলারদের উপর। ১২ বলে ১৮ করে দলীয় ৫৯ রানে আউট হন তামিম ইকবাল। কিন্তু অবিচল ছিল সৌম্যর ব্যাট। ক্ষুরধার ব্যাট চালিয়ে মাত্র ২৭ বলেই তুলে নেন ফিফটি।
কিন্তু শেনন গ্যাব্রিয়েল ও ফাবিয়ান অ্যালেন পর পর মুশফিক, সৌম্য, মিথুন ও সাব্বিরকে তুলে নিলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু ক্ষনিকের সে চাপকে আর বড় হতে দেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পুরোদমে আগ্রাসী ব্যাটিং করে মাত্র ২৪ বলেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। সেই সাথে নিশ্চিত করেছেন ৫ উইকেটের বড় জয়।
স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১৫২/১ (২৪ ওভার) (হোপ ৭৪, এমব্রিস ৬৯) মিরাজ ২২/১
বাংলাদেশ- ২১০/৫ (২২.৫ ওভার) (সৌম্য ৬৬, সৈকত ৫২) গ্যাব্রিয়েল ২/৩০, রেইফার ২৩/২
-ডিকে