অনলাইনঃ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জলবায়ু অর্থায়ন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি জানিয়েছেন।

দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন কোন ‘মার্কেট ম্যাকানিজম’ থেকে নয়, বরং তা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাদ্রিদ সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলবায়ু সম্মেলনের ‘হাই-লেভেল সেগমেন্টে’ বাংলাদেশের পক্ষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (সাবেক পরিবেশমন্ত্রী) এ দাবি জানান।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন মার্কেট মেকানিজমের উপর চাপাতে চাইছে। মার্কেট ম্যাকানিজম হলে মুনাফার বিষয় থাকবে। মুনাফা না হলে মার্কেট ম্যাকানিজম থেকে অর্থ আসবে না।

গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে প্রায় ৯৫০ কোটি ডলার জমা হলেও বাংলাদেশ এ তহবীল থেকে এপর্যন্ত মাত্র ৯ কোটি ডলার পেয়েছে, উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো সামরিক খাতে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে অথচ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ দিচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্র এ ফান্ডে ৩০০ কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ১০০ কোটি ডলার প্রদানের পর বাকি ২০০ কোটি ডলার প্রত্যাহার করে নিয়েছে, এটা হতাশাজনক।

অর্থপ্রদান প্রক্রিয়া জটিল হওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্থ পাচ্ছে না উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অর্থ প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সক্ষম বলেই এ পর্যন্ত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে ৯ কোটি ডলার পেয়েছে। শুধু সক্ষমই নয়, বাংলাদেশ এবিষয়ে অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। বিশ্বে বাংলাদেশেই প্রথম দেশ যারা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় ক্লাইমেট চেঞ্জ একশ্যান প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। নিজের বাজেট থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। এ ফান্ড থেকে এ পর্যন্ত ৭২০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, বলেন পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।

মাদ্রিদে জাতিসংঘ জলবায় সম্মেলনে যোগদান শেষে শনিবার তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

-বাসস

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily