অর্থনীতিঃ
বছরে সারাবিশ্বে পোশাক শিল্পের বাজার ৯০০ বিলিয়ন ডলার। অথচ আইসিটি খাতের বার্ষিক চাহিদা ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। আমরা এখাতে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছি। পোশাক শিল্পের মতোই আমরা আইসিটি খাতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো।
আমাদের বিশাল কর্মক্ষম যবসমাজের সুযোগ রয়েছে, তাই এই সেক্টরে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমাদের তরুণ সমাজ এই দেশের সন্তান। তারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের উত্তরাধিকারী। তারা যুদ্ধ করেনি কিন্তু তাদের রক্তে বহমান মুক্তিযুদ্ধের রক্ত, তাদের রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরনা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা ব্যর্থ হবেনা, দেশের যুবসমাজব পরাজিত হবে না । ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের নিকট থেকে এসেছে। এটা আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে ধরা দিয়েছে। এটা সারাদেশে অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ৫জি শিগগরিই বাস্তবে রূপান্তর হবে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ শনিবার(১৮ জানুয়ারি) নগরীরর শেরে বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রযুক্তির মহাসড়কের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর উর রহমান ।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, প্রথম শিল্প বিপ্লব ইংল্যান্ডে শুরু হয়। প্রথম শিল্প বিপ্লকে আমরা ফেইল করেছি, দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবও আমরা অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। তৃতীয় শিল্প বিপ্লব চলমান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অংশ গ্রহণ করছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নলেজ বেইজড সব কিছুই পরিবর্তন আসবে টেকনোলজির মাধ্যমে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের স্বগৌরব উপস্থিতি থাকবে। টেকনোলজির বহুমাত্রিক ব্যবহার করতে হবে। আমরা শিক্ষা গ্রহণ করবো এবং বাস্তবায়িত করবো। আমার দেশের তরুণ সমাজ অনেক বুদ্ধিদ্বীপ্ত দেশের তরুণ সমাজ ফেইল করবে না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমরা আর মিস করবো না। আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে। ব্যাপক শিল্পায়ানের মাধ্যমে সবাইকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। একদিকে শিল্পায়ন হবে অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যারা বাংলাদেশে উৎপাদন তৈরি করতে আসবে তাদের পণ্যটি দেখতে হবে। আমাদের প্রধান কাজ হবে আমরা এসব এলাকায় কত রাজস্ব অর্জন করতে পারবো কতটা কর্মসংস্থান হবে। এই দুটি বিষয়ে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।
জাতির পিতাকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্ম শতবর্ষ উদযাপনে বঙ্গবন্ধুর জন্য সর্বত্রই কিছু না কিছু না কিছু কম্পোনেন্ট রাখা হয়েছে। যতোদিন পৃথিবী, যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতোদিন পতাকা থাকবে ততোদিন এই দেশের মানুষের কাছে জাতির পিতাকে চিরস্থায়ীভাবে দেখতে চাই। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন ও দুই লাখ মা বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আমরা সে ঋণ শোধ করার চেষ্টা করবো সোনার বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে। যেমনিভাবে লেখাপড়া দরকার ঠিক তেমনিভাবে আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট গড়তে হবে। আমাদের যুব সমাজ সব কিছুর জন্য প্রস্তুত। আমি আবারও বলবো আমি স্বপ্ন দেখি যেমনিভাবে সজিব ওয়াজেদ জয় তরুণ সমাজকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, যেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, সারা পৃথিবীতে ডিজিটাল শব্দটিকে বিপ্লবে রূপ দিয়েছে বাংলোদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ১১ বছর পরে আমরা একটা মূল্যায়ন করেছি। আমরা জিজিটাল খাতে অনেক এগিয়েছি। আমরা দেশেই উৎপাদনের মাধ্যমে কম্পিউটার ও মোবাইলের চাহিদা পূরণ করছি। আমরা সব সূচকেই এগিয়ে যাচ্ছি। মানসূচক উন্নয়নে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়।